স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল তথ্য, নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন, ভোটার নিবন্ধন, অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, রিইস্যু সংক্রান্ত সকল তথ্য নিয়ে এখানে লেখা হয়েছে। আশা করি আপনার ‍উপকারে আসবে।

Advertisement

জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত সকল তথ্যের লিংক

নতুন ভোটার নিবন্ধননতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
ডাউনলোডভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ডভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড
জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাইজাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই
স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাসস্মার্ট কার্ড চেক
সংশোধনভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
সংশোধন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেহারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
ঠিকানা ও ভোটার এলাকা পরিবর্তনভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন
ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তনভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন
ভোটার সিরিয়াল নম্বর জানতেভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার উপায়
অঙ্গীকার নামানতুন ভোটার অঙ্গীকার নামা
একাধিকবার বা দ্বৈত ভোটার হলেভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম | নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র

যদি আপনার বয়স ১৬ হয়ে থাকে এবং একজন বাংলাদেশী নাগরীক হয়ে থাকেন, অনলাইনেই নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য ও ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

Advertisement

যদিও আপনি ১৮ বছর হওয়ার আগেই জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন, যখন আপনার বয়স ১৮ পূর্ণ হলেই ভোটার তালিকায় আপনার নাম অর্ন্তভুক্ত হবে।

ভবিষ্যতে, হয়তো আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ ও ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু থাকবেনা। একজন নাগরিককে শুধুমাত্র অনলাইনেই ভোটার হওয়া এবং ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে।

অনলাইনে ভোটার নিবন্ধনের সুবিধা

অনলাইনে ভোটার নিবন্ধনের আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন

  • নির্ভুল তথ্য – যেহেতু আপনার তথ্য আপনি নিজেই পূরণ করছেন
  • হয়রানি ও আনিুষ্ঠানিকতা কম
  • অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ

অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার উপায়

আপনার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র না পেলেও আপনি অনলাইন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি সংগ্রহ করে লেমিনেট করে সেটি ব্যবহার করতে পারবেন।

Advertisement

ভোটার নিবন্ধন ফরম নম্বর দিয়ে আইডি কার্ড বের করা ও আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র চেক ও ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারবেন।

যদি আপনি ২০১৯ সালের পরে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নিবন্ধন করে থাকেন এবং স্মার্ট কার্ড হাতে না পেয়ে থাকেন, অনলাইন থেকেই স্লিপ বা ফর্ম নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড নিয়ে আরও তথ্য

ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই

সাধারনত নিরাপত্তাজনিত কারণে, আপনি অন্য কোন ব্যক্তির পরিচয় পত্রের তথ্য অনলাইন থেকে দেখার কোন সুযোগ নেই। তবে নিজের এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে ফেইস ভেরিফিকেশন করে নিজ এনআইডির তথ্য দেখতে পারেন ও ডাউনলোড করতে পারেন।

কিন্তু অনেকক্ষেত্রে কারো পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য, কারো জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার প্রয়োজন হতে পারে। এমতাবস্থায় কারো এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে কিভাবে ব্যক্তির নাম ঠিকানা ও ছবিসহ তথ্য যাচাই করবেন তার একটি ট্রিক রয়েছে। ট্রিকটি জানতে পড়ুন- অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই

Advertisement

অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার পর দেখলেন আপনার নাম বা কোন তথ্যে ভুল রয়েছে। কেমন লাগবে? অবশ্যই মন খারাপ হবে। মন খারাপের কোন কারণ নেই, কারণ অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের বিশেষ সুযোগ রয়েছে।

কিভাবে সংশোধন করবেন? আসুন জানি।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি পরিবর্তন ছাড়া অন্য যে কোন তথ্যের সংশোধন বা পরিবর্তনের জন্য আপনি অনলাইনেই আবেদন করতে পারবেন। এজন্য, শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রমাণ আপলোড করতে হবে। এছাড়া, আবেদনটি অফিসে জমা দেয়া বা অন্য কোন আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই।

জানুন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কি কি লাগে

Advertisement

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ধরণ

অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের ৩ ধরণের সংশোধন করা যায়, যেমন

  • তথ্য সংশোধন
  • অন্যান্য তথ্য সংশোধন
  • বাসা ও পোস্ট অফিস পরিবর্তন
  • বর্তমান ঠিকানা বা ভোটার এলাকা পরিবর্তন

তথ্য সংশোধন

যে তথ্যসমূহ স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের উপর প্রিন্ট করা থাকে, এমন তথ্য সংশোধনকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন বলা হয়। যেমন নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তন ইত্যাদি।

অন্যান্য তথ্য সংশোধন

যে তথ্যসমূহ স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের উপর প্রিন্ট করা থাকে না যেমন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্ম, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি, এমন তথ্য সংশোধনকে জাতীয় পরিচয়পত্রের অন্যান্য তথ্য সংশোধন বলা হয়।

বাসা ও পোস্ট অফিস পরিবর্তন

অনলাইনে আবেদন করে, আপনার ঠিকানার বাসা বা হোল্ডিং নম্বর, পোস্ট অফিস ও পোস্ট কোড সংশোধন করতে পারবেন।

বর্তমান ঠিকানা বা ভোটার এলাকা পরিবর্তন

যদি আপনার বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে আপনার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন ফরম বা মাইগ্রেশন ফরম ১৩ পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়

জাতীয় পরিচয় পত্র আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। এটি হারিয়ে গেলে আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু খুবই সহজ কিছু কাজের মাধ্যমে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি আবার সংগ্রহ করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে প্রথমে আপনার নিকটস্থ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করতে হবে। তারপর জিডি কপি আপলোড করে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।

সাধারণত ১৫-২০ দিনের মধ্যে আবেদন অনুমোদন হলেই, অনলাইন থেকেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রটি ডাউনলোড ও লেমিনেট করে ব্যবহার করতে পারবেন।

নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিন কিভাবে জিডি করবেন এবং অনলাইনে আবেদন করে হারানো এন আইডি কার্ড উত্তোলন করবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর

আমি যথা সময়ে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি। এখন কিভাবে করা যাবে?

আপনি যে কোন সময়ে অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু তখ আইডি কার্ড সংগ্রহ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?

উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইনে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন।

জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?

ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই।

আমি কোথা থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করব?

অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।

আমার কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?

অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। অথবা অন্য কাউকে সংগ্রহ করার জন্য ক্ষমতা অর্পন করতে পারেন।

কার্ডে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে কি হবে?

জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৩ আবার কারো ১৭ এবং ১০ ডিজিটের কেন?

২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে। এখানে ১৩ ডিজিটের পূর্বে ব্যক্তির জন্মসাল বসানো হয়েছে। এবং স্মার্ট কার্ডের ক্ষেত্রে সবার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১০ ডিজিট।

আমার বিভিন্ন বয়স/নাম আছে। কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?

এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী বয়স ও নাম। লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে।

এক ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব?

না। একজন একটি মাত্র কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হলে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা তা ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন?

জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন (TIN) নম্বর (যদি থাকে)।

আমি ভুলে দু’বার রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি এখন কি করবো?

যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। বর্তমানে Finger Print Matching কার্যক্রম চলছে। অচিরেই সকল Duplicate Entry সনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আইডি কার্ড আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কি?

এক্ষেত্রে আপনি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।

কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনে পাওয়া যায়

যদি আপনি ইতোপূর্বে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নিবন্ধন করে থাকেন, আপনার স্লিপ নম্বর বা ফর্ম নম্বর দিয়ে অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। নিবন্ধন না করে থাকলে অনলাইনে নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করুন

সাময়িক জাতীয় পরিচয় পত্র কি

স্মার্ট এনআইডি কার্ড দেয়ার পূর্বে নির্বাচন কমিশন কিছু ভোটারদের সাময়িকভাবে লেমিনেটেড আইডি কার্ড প্রদান করে। যতদিন না স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করা হবে, এই সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্র বৈধভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

Advertisement