অনলাইন থেকে নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন
অনলাইনে কিভাবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন বিস্তারিত প্রক্রিয়া
নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে? খুব সহজেই আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার থেকে আপনার নতুন আইডি কার্ড দেখতে ও ডাউনলোড করতে পারবেন। হারিয়ে গেলে পুনরায় ডাউনলোড বা রিইস্যুর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা এবং চেক করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া 2021 দেখানো হল।
শুধুমাত্র আপনার ভোটার স্লিপ নম্বর/এনআইডি নম্বর ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। আগে জেনে নিই এই জন্য কী কী প্রয়োজন হবে।
এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যা প্রয়োজন হবে
নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখার জন্য বা ডাউনলোড করার জন্য আপনার যা যা দরকার হবে,
- ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর
- জন্মতারিখ
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা)
- একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার
- সচল মোবাইল নম্বর (ওটিপি ভেরিফিকেশনের জন্য)
- অন্য একটি এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন (ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য)
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড চেক বা নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা খুব কঠিন কোন কাজ নয়। আপনি নিচে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম অনুসরণ করে অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন।
কিভাবে অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবেন দেখুন,
ধাপ ১- NID Wallet মোবাইল এ্যাপ ডাউনলোড
প্রথমে ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য (Face Verification) নির্বাচন কমিশনের মোবাইল এ্যাপ NID Wallet অপর মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে।
Google Play Store এ যান এবং সার্চ করুন NID Wallet লিখে। তারপর এপটি ইনস্টল করুন।
ধাপ ২- জাতীয় পরিচয় পত্র একাউন্টে রেজিষ্ট্রেশন ও লগ ইন
স্লিপ নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার দিয়ে এনআইডি সেবার ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
যদি ২০১৯ এর পর ভোটার হয়ে থাকেন হয়তো আপনার ভোটার আইডি স্লিপ আছে। আপনি স্লিপ নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র উইং (NID Wing) এর রেজিস্ট্রেশন করেই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে এবং তা প্রিন্ট ও লেমিনেটিং করে ব্যবহার করতে পারবেন।
এখন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে আপনাকে একাউন্ট রেজিষ্টার বা সাইন আপ করতে হবে। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
ধাপ ১ঃ জাতীয় পরিচয়পত্র একাউন্ট এই লিংকে যান। নিচের মত একটি পেইজ আসবে
এখানে রেজিস্টার করুন লিংকে ক্লিক করুন।
ধাপ ২ঃ জাতীয় পরিচয় পত্র / ভোটার আইডি কার্ড / স্মার্ট কার্ড নম্বর বা স্লিপ নম্বর লিখুন। আপনার জন্মতারিখ ও ছবিতে দেখানো কোডটি টাইপ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩ঃ এবার আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) বাছাই করুন। নিচের ছবির মত।
ধাপ ৪ঃ উপরের সব তথ্য সঠিক থাকলে আপনার মোবাইল নম্বর দেখানো হবে। অথবা আপনি নতুন একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে।
অবশ্যই মোবাইল নম্বরটি সচল এবং আপনার হাতে থাকতে হবে। কারণ এই নম্বরের একটি ভেরিফিকেশন ওটিপি পাঠানো হবে।
এখানে আপনার মোবাইল নম্বরটি সঠিকভাবে লিখুন এবং বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫ঃ আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। কোডটি উপরের ছবিতে দেখানো ঘরে লিখুন এবং বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
এবার আপনার Face Verification এর জন্য একটি QR কোড দেখানো হবে। NID Wallet অ্যাপ দিয়ে কোড টি স্ক্যান করে আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে।
ধাপ ৬ঃ আপনার Face Verification এর জন্য একটি QR কোড দেখানো হবে। যে মোবাইলে আপনি NID Wallet ইনস্টল করেছেন। সেই মোবাইলটি হাতে নিন। এ্যাপটি ওপেন করুন এবং QR কোডটি স্ক্যান করুন।
ধাপ ৭ঃ এ্যাপ এ দেখানো ভিডিওর মত, আপনার মুখ বরাবর সেলফি ক্যামেরা ধরুন ও সোজাসুজি তাকান। ঠিক থাকলে ছবিতে OK বা টিক মার্ক নোটিফিকেশন দেখাবে।
তারপর, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আপনার মাথা ডানে একবার ও বামে একবার ঘোরাবেন। OK না দেখালে, আবার চেষ্টা করুন।
ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনার সামনে নিচের মত একটি পেইজ আসবে।
ধাপ ৮ঃ পাসওয়ার্ড সেট করুন। ভবিষ্যতে ফেইস ভেরিফিকেশনের ঝামেলা ছাড়া একাউন্টে লগ ইন করতে হলে, আপনাকে সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য আমার পরামর্শ থাকবে। ভবিষ্যতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা পুনরায় ডাউনলোড করার জন্য আপনার অনেক সুবিধা হবে।
ধাপ ৪ঃ জাতীয় পরিচয় পত্র/ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
পাসওয়ার্ড সেট করার সাথে সাথে আপনার NID Website এ লগ ইন হয়ে যাবে। আপনি আপনার ছবি ও প্রোফাইল দেখতে পাবেন।
ছবির ডান পাশে দেখানো অপশন থেকে সবার নিচে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে আপনার নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র/ এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিন।
পড়তে পারেন- ভোটার আইডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন ফরম
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম
শুধুমাত্র মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার কোন সুযোগ নেই। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ জানা থাকলেই এনআইডি সেবার ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করতে পারবেন।
যদি আপনি জানতে চান যে কারো মোবাইল নাম্বার দিয়ে কিভাবে কোন ব্যক্তির নাম ঠিকানা বের করা যায়, আমি বলব এটি সাধারণ জনসাধারণের জন্য অসম্ভব। কারণ ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার কারণেই এ ধরণের কোন সুযোগ নেই।
তবে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে আপনি কারো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেন এখানে – অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড সংক্রান্ত প্রশ্নসমূহ
যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা ভোটার নিবন্ধন স্লিপ নম্বর থাকে, আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখতে পারেন বা ডাউনলোড করতে পারেন।
আপনার ভোটার নিবন্ধন ফরম স্লিপ হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানায় জিডি করে সঠিক ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে হারানো কার্ডের জন্য আবেদন পত্র আপনার উপজেলার নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।
স্লিপ হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানায় জিডি করে সঠিক ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে হারানো কার্ডের জন্য আবেদন পত্র আপনার উপজেলার নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। উপজেলা অফিস থেকেই আপনার ভোটার আইডি নম্বর জানতে পারবেন।
আপনার বয়স ১৬ বছরের বেশি হলে, আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। পড়ুন- অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র করার নিয়ম
যারা ২০১৯ সালে ভোটার নিবন্ধন করেছিলেন, তাদের ইতোমধ্যে স্মার্ট কার্ড দেয়া হয়েছে। আর যারা এখনো স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পান নি, তারা জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনার বয়স ১৬ বছরের বেশি হলে, অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। পড়ুন- অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট তথ্যের প্রমাণস্বরুপ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে। যেমন, এসএসসি সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধন, পিতা-মাতার আইডি কার্ড ইত্যাদি। পড়ুন- জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন
প্রথমে নিকটতম থানায় জিডি করে জিডির মূল কপি সংযুক্ত করে অনলাইনে রিইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। এরপর জিডি কপি আপলোড করে অনলাইনে রিইস্যুর আবেদন করতে হয়। আবেদন অনুমোদনের পর অনলাইন থেকে প্রিন্ট করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার কারণে জনসাধারণের জন্য শুধুমাত্র মোবাইল নম্বর দিয়ে কারো জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ঠিকানা ও তথ্য বের করার কোন সুযোগ নেই।
নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়ার পর, যাচাই বাছাই করে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হবে। আবেদন অনুমোদনের পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাবেন এবং আপনি অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
I need to download nid smart copy
Yes
আমার স্মার্ট এনআডির প্রয়োজন
Qr code , আসতেছেনা কেন
মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন কি সম্পন্ন হয়েছে? আপনি মোবাইল না কম্পিউটার এবং কোন ব্রাউজার ব্যবহার করছেন?
Can't download..they show some thing in site
Please make it clear what problem actually you are facing.
i need nid crad plz
এখন এইটা শো করতেছে যখন ডাউনলোড অপশনে
ক্লিক করি।।কিন্তু পিডিএফ ডাউনলোড হচ্ছ্বে না
ডাউনলোড এনআইডি
নির্দেশাবলী:
১. নতুন নিবন্ধিত ভোটার যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এখনও মুদ্রিত হয়নি, তারা বিনা ব্যয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুলিপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
২. যারা এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছিলেন তাদের পুনরায় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুলিপি ডাউনলোড করার জন্য হারিয়ে যাওয়া বা ক্ষতির জন্য ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে।ি
৩. যারা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন তারা সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন সংশোধন হওয়ার পরে।
আপনাদের এই ব্লগ পড়ে অনেক কিছু শিখলাম
https://studyathome.xyz
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রিন্ট করা হয়েছে, ডেলিভারী দেওয়া হয়েছে, বা নির্বাচন অফিসে ডেলিভারীর জন্য পাঠানো হয়েছে, তাদের আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবেনা। আপনি নির্বাচন অফিসে কার্ড সংগ্রহ করার জন্য যোগাযোগ করুন। যদি সেখানে না পান, কার্ড হারিয়ে গেছে এই মর্মে একটি জিডি করে, জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যুর জন্য আবেদন করুন।
নতুন ভাবে আইড়ী কাঢ় তৈরি করতে চায়