সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত?

সৌদি আরবে সরকার কর্তৃক কোনো ফ্রি ভিসা নেই বরং বাংলাদেশের কিছু বেসরকারি কোম্পানি বা এজেন্সি অবৈধভাবে এসব ফ্রি ভিসা বিক্রয় করে থাকে।

Advertisement

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত এবং কিভাবে ফ্রি ভিসা পাওয়া যায়, সৌদি আরবে কি আদৌ কোন ফ্রি ভিসা আছে কিনা এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানুন।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা আসলে কি, কিভাবে পাওয়া যাবে এধরণের ভিসা এবং ফি ফিসার দাম নিয়ে কথা বলব। অবশ্যই একটু ধৈর্য্য নিয়ে পুরো ব্লগটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা

সৌদি আরবে কি আসলেই ফ্রি ভিসা পাওয়া যায় কিনা তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সন্দেহ বা প্রশ্ন আসতে পারে। আসলে সৌদি আরব সরকার এখন পর্যন্ত এমন কোন ফ্রি ভিসা চালু করেন নি বা কোন নির্দেশনা দেয় নি।

তবে বাংলাদেশের এমন অনেক ধরনের কোম্পানি এবং রিক্রুটিং এজেন্সি আছে যারা ফ্রি ভিসার কথা বলে অবৈধভাবে মানুষদের সৌদি আরব যেতে সাহায্য করে।

এক্ষেত্রে এসব ধরনের এজেন্সি এর সাহায্যে সৌদি আরব যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেই এজেন্সি বা কোম্পানি সম্পর্কে ভালোমত খোঁজখবর নিয়ে জেনে নিতে হবে। আরও পড়তে পারেন- সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো

এ সকল এজেন্সি থেকে সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের ঝামেলা এবং বিভিন্ন ধরনের জরিমানা হতে পারে তাই ফ্রি ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

Advertisement

এই ধরনের কোম্পানি বা এজেন্সির মাধ্যমে ফ্রি ভিসা সার্ভিস নিয়ে সৌদি আরব যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের ঝামেলা হলে আপনার অনেক আর্থিক লোকসান বা জরিমানাও হতে পারে।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম 

সৌদি আরবের এসব অবৈধ ফ্রি ভিসার দাম সাধারণত ৩ লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সৌদি আরবে কোন ফ্রি ভিসা চালু না থাকলেও কিছু বেসরকারি কোম্পানি বা রিক্রুটিং এজেন্সি বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে।

আরও পড়ুন: সৌদি আরব ভিসার দাম কত

এ সকল কোম্পানি বা এজেন্সি সৌদি আরবের বিভিন্ন বাসা বাড়ির ঠিকানায় ভিসা তৈরি করে  অবৈধভাবে শ্রমিকদের সৌদি আরব যেতে সাহায্য করে।

Advertisement

বেসরকারি এই এজেন্সি গুলো কাজের ভিসা, বাসা বাড়ির কাজের ভিসা, কারখানায় কাজের ভিসা ইত্যাদি নামে এই অবৈধ ফ্রি ভিসা গুলো বিক্রি করে থাকে।

সৌদি আরবে যেহেতু কোনো ফ্রি ভিসা নেই তাই কাজের উদ্দেশ্যে এসব এজেন্সি থেকে ৩/৪ লক্ষ টাকা খরচ করে অবৈধ ফ্রি ভিসা নিয়ে অনেকেই বিদেশ গিয়ে প্রতারিত হয়ে থাকে।

তাই সকল এজেন্সির ফ্রি ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ভিসা বৈধ কিনা এবং পুলিশের কোনো ঝামেলা আছে কিনা তা নিশ্চিত করে নিতে হবে।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা পাওয়ার উপায়

মূলত সৌদি আরবের সরকার কর্তৃক কোন ধরনের ফ্রি ভিসা সার্ভিস এখন পর্যন্ত চালু হয়নি এবং কখনো এমন ফ্রী ভিসা পাওয়া যাবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

Advertisement

ফ্রি ভিসা সার্ভিসের নাম করে বাংলাদেশের কিছু বেসরকারী কোম্পানি বা এজেন্সি অবৈধভাবে বিভিন্ন কাজের জন্য সৌদি আরবে শ্রমিকদের পাঠাতে সাহায্য করে।

আরও পড়তে পারেন: জানুন সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি

এ ধরনের কোম্পানি বা বেসরকারি এজেন্সি মূলত সৌদি আরবের বিভিন্ন বাসা বাড়ি ঠিকানায় বিভিন্ন ভুয়া বা অবৈধ ভিসা তৈরি করে এবং এগুলো ফ্রি ভিসা হিসেবে বিক্রি করে।

তারা বিভিন্ন বাসা বাড়ি, কোম্পানি, কারখানা ইত্যাদির ঠিকানা নিয়ে উক্ত ঠিকানার মালিকানাধীন ব্যক্তির নামে ভিসা তৈরি করে এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের উক্ত ঠিকানায় কাজের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে।

বেশিরভাগ সময় কোম্পানি বা কারখানা এধরনের ভিসা অবৈধ বা ভুয়া হয়ে থাকে এবং শ্রমিকদের পরে হয়রানির শিকার হতে হয়।

ফ্রি ভিসা নাকি প্রতারণা 

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা হিসেবে বাংলাদেশে যে সকল ভিসা দেয়া হয় তা সাধারণত একটি প্রতারণামূলক ফাঁদ। সৌদি আরবে এমন অনেক বাসা বাড়ি বা কারখানা আছে যেখানে কোন মানুষ বসবাস করে না।

এই কোম্পানি বা এজেন্সি গুলো এ সকল পরিত্যক্ত বাসা বাড়ির ঠিকানা দিয়ে ফ্রি ভিসা তৈরি করে এবং সেখানে মানুষজনদের পাঠায়।

অবৈধভাবে ফ্রি ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যাওয়ার পর তারা নিজেদের মতো বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি বা কারখানায় কাজে নিযুক্ত হয় এবং স্বাভাবিকভাবে বসবাস শুরু করে।

এভাবে বিভিন্ন কোম্পানি বা ফ্যাক্টরিতে কাজ পাওয়ার পর সেই অসাধু এজেন্সি গুলো আপনার উপার্জিত অর্থ থেকে অর্ধেক বা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দাবি করতে পারে।

টাকা দিতে রাজি না হলে তারা প্রতিনিয়ত আপনার ফ্রি ভিসার কথা জানিয়ে পুলিশের ঝামেলা করার হুমকি দিতে থাকবে এমনকি পুলিশে ধরিয়েও দিতে পারে।

এভাবে ৩/৪ লক্ষ টাকা খরচ করে ফ্রি ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব যাওয়ার পর তারা আর্থিকভাবে প্রতারিত হতে থাকে। 

অনেকসময় ফ্রি ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব গিয়ে ধরা খেলে সৌদি সরকার দেশ থেকে বের করে দিতে পারে এবং জরিমানা সহ বিভিন্ন আইনি ঝামেলাও হতে পারে।

এভাবে ফ্রি ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব গিয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে এবং অসাধু এজেন্সি গুলো তাদের প্রসার বৃদ্ধি করছে।

তাই ফ্রি ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ভিসা ও ঠিকানার বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে এবং আইনি ঝামেলা হবে কিনা তা নিশ্চিত করে নিতে হবে।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা নামক এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ার আগেই সবাইকে সতর্ক এবং সচেতন হতে হবে।

শেষ কথা

সৌদি আরবের কোন বৈধ ফ্রি ভিসা নেই ; বাংলাদেশের বেসরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে অবৈধভাবে ফ্রি ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা ও ঠিকানার বৈধতা যাচাই করে এবং বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করে যাওয়া উচিত। 

অন্যথায় আইনি ঝামেলা সহ জরিমানা ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

ভিসা সংক্রান্ত আরও তথ্য

Advertisement

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।