সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৩

সরকারিভাবে কাজের জন্য বিদেশ যাওয়া নিরাপদ ও সাশ্রয়ী। জানুন সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায় ও খরচ নিয়ে বিস্তারিত।

Advertisement

বাংলাদেশের অনেক নাগরিক জীবিকা নির্বাহের জন্য চাকরির সন্ধানে বিদেশ ভ্রমণ করে। বিদেশ ভ্রমণের সব থেকে কার্যকরী উপায় হল সরকারিভাবে ভ্রমণ। সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এবং কিভাবে দালাল ছাড়া বিদেশে চাকরির জন্য আবেদন করবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বাবলম্বী করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো রেমিটেন্স।

প্রতিবছর বাংলাদেশের অনেক নাগরিক বিদেশ ভ্রমণ করে। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক সময় দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হতে হয়। সকল ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে সবথেকে কার্যকরী উপায় হল সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণ। সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণের আগে সরকারিভাবে যে সকল দেশে ভ্রমণ করা যায় তা জানা প্রয়োজন।

সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

সরকারিভাবে সৌদি আরব, ওমান, মালেশিয়া, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, আমেরিকা, ভারত, রোমানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত ও সিঙ্গাপুরসহ প্রায় ১৭২টি দেশে কাজের ভিসায় যাওয়া যায়। সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় তা Ami Probashi অ্যাপসের মাধ্যমে খুব সহজে জানতে পারবেন।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের জন্য কোন কোন দেশের ভিসা খোলা আছে

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে  অনেকগুলো দেশে ভ্রমণ করা যায়। আপনাদের সুবিধার্থে চলতি বছরে খুব সহজেই সরকারিভাবে যে সকল দেশে ভ্রমণ করা যায় উক্ত দেশগুলোর নাম তালিকা আকারে নিচে প্রকাশ করা হলো।

ক্রমিকদেশভিসা আবেদন করার নিয়ম
সৌদি আরব
সংযুক্ত আরব আমিরাত
ওমান
মালয়েশিয়া
কাতার
কুয়েত
বাহারাইন
ইটালি
সিঙ্গাপুরসিঙ্গাপুর ভিসা আবেদনের নিয়ম
১০জর্ডান
১১লেবানন
১২লিবিয়া
১৩যুক্তরাষ্ট্র
১৪কানাডাসরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
১৫রোমানিয়া
১৬যুক্তরাজ্য
১৭ইরাক 
১৮ব্রুনাই দারুসসালাম
১৯মরিশাস
২০ফ্রান্স
২১দক্ষিণ কোরিয়া
২২অস্ট্রেলিয়া
২৩ভারতইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন করার নিয়ম
২৪লন্ডন 
২৫সুইজারল্যান্ড
২৬মালদ্বীপ
২৭ডেনমার্ক
২৮ফিনল্যান্ড
২৯নিউজিল্যান্ড
৩০জ্যামাইকো
৩১চীন
৩২শ্রীলঙ্কা
৩৩কম্বোডিয়া
৩৪অস্ট্রেলিয়া
৩৫থাইল্যান্ড
৩৬জাপান

উপরে উল্লেখিত দেশগুলো ব্যতীত আরো অনেক দেশের সরকারিভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন।

Advertisement

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রথমে Ami Probashi অ্যাপ থেকে একাউন্ট Open করে আপনার পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাবমিট করে আপনার পছন্দের দেশে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Ami Probashi অ্যাপের মাধ্যমে আপনারা চাকরির ধরন এবং বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আবেদন করতে পারবেন। উক্ত কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট টিম যদি আপনাকে সিলেক্ট করে তাহলে পরবর্তীতে তাদের নির্ধারিত স্থানে ইন্টারভিউ উত্তীর্ণ হয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।

সাধারণত, চাকরির প্রার্থী, শ্রমিক এবং স্কলারশিপ পাওয়া স্টুডেন্ট হিসেবে সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণ করা যায়। কোন ধরনের দালাল চক্র ছাড়াই Ami Probashi অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি বিদেশে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন- সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি

Advertisement

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়

সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণের জন্য আনুমানিক ১,০০,০০০ টাকা থেকে ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে বিভিন্ন দেশ ভেদে খরচের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।

ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ ভ্রমণের থেকে সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণের খরচ অনেক কম। সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণের আগে অবশ্যই আপনার কর্মদক্ষতা থাকতে হবে এবং TTC থেকে ৩ দিনের বিদেশ ভ্রমণ কোর্স সম্পূর্ণ করে সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে।

কম খরচে কোন দেশে যাওয়া যায়

কম খরচে পোল্যান্ড, ভারত, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান এই সকল দেশে ভ্রমণ করা যায়।

বিদেশে ভ্রমণের জন্য অবশ্যই টাকা খরচ করতে হবে তবে সরকারিভাবে ভ্রমণ করলে টাকা খরচ কিছুটা কম হয়। বেসরকারি ভাবে তথা দালাল চক্রের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ করতে গেলে অনেক সময় প্রতারণা শিকার হতে হয়।

Advertisement

সহজেই বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত অ্যাপস Ami Probashi  এর মাধ্যমে বিদেশে চাকরির জন্য এবং বিদেশ ভ্রমণের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই অ্যাপসটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সবথেকে বড় সুযোগ হলো এখানে দালাল চক্রের আবির্ভাব না থাকায় প্রতারিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। Ami Probashi অ্যাপস এর মাধ্যমে বিদেশি সকল চাকরির সার্কুলার দেখে আবেদন করতে পারবেন।

আমি প্রবাসী অ্যাপসে লগইন করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দিবেন এবং পরবর্তীতে উক্ত অ্যাপস ব্যবহার করে সম্প্রতি বহি-দেশের সকল কোম্পানির চাকরির সার্কুলার গুলো দেখতে পারবেন। এরসাথে সরকারিভাবে উক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সমূহ

  • বৈধভাবে ও নিরাপদে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
  • প্রথমে লাভ ও ক্ষতির হিসাব করুন পরবর্তীতে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
  • সংশ্লিষ্ট ডিইএমও তে ডাটাবেজ নাম নিবন্ধন করুন।
  • গন্তব্য দেশের ভাষা জেনে নিন এবং সংশ্লিষ্ট কাজের দক্ষতা অর্জন করুন।
  • সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্ট এর মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ করুন।
  • নিজের পাসপোর্ট নিজেই রাখুন এবং ভিসা সংগ্রহ করুন অতঃপর যাচাই করুন।
  • ভালো মতন পড়ে ও বুঝে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করুন।
  • অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার হতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
  • সংশ্লিষ্ট ডিইএমও অফিসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ দিন।
  • বিদেশে যাওয়ার পূর্বে ৩ দিনের প্রাক-বহির্গমন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করুন।
  • বিদেশে যাওয়ার পূর্বে ২টি ব্যাংক হিসাব খুলুন।
  • বিএমইটির স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করুন।
  • বিদেশে যাওয়ার পূর্বে প্রত্যেকটি কাগজপত্র এর ৩-৪টি করে ফটোকপি তৈরি করুন।
  • ভালোভাবে সকল রুলস মেনে যাত্রা শুরু করুন।

দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায়

দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার একমাত্র উপায় হল সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণ অথবা সরকার অনুমোদিত রিকুইটিং এজেন্ট এর মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ করা। সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণের সকল সার্কুলার Ami Probashi অ্যাপসের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।

সরকার অনুমোদিত এজেন্সি ব্যতীত অন্য দালাল চক্র মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ করলে পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন এবং অনেক সময় এই সকল দালাল চক্র জনগণের কাছ থেকে বিদেশ ভ্রমণের আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।

তাই বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবসময়ই চেষ্টা করবেন সরকারিভাবে অথবা সরকার অনুমোদিত রিকুইটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ করা।

বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত আরও তথ্য

Advertisement

Similar Posts

One Comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।