যে ব্যাংক হিসাবে নেই কোন চার্জ ও নুন্যতম জমার বাধ্যবাধকতা

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য এলো দারুন এক ব্যাংকিং সুবিধা। এখন থেকে Personal Retail Account বা ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবে নেই কোন চার্জ ও নুন্যতম জমার পরিমাণ।

Advertisement

অতিক্ষুদ্র ও ভাসমান উদ্যোক্তা, প্রান্তিক দোকানদার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পণ্য ও সেবা বিক্রেতারা যে কোন ব্যাংক বা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা থেকে “ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব” বা Personal Retail Account নামের চলতি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন।

ব্যক্তিক রিটেইল একাউন্ট খুলতে লাগবে না কোন নুন্যতম জমার পরিমাণ। আবার লেনদেন না করলেও একাউন্ট বন্ধ হবে না। তাছাড়া এই হিসাবে নেই কোন বাৎসরিক রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ। আসুন জানি Personal Retail Account নিয়ে বিস্তারিত।

১৯ মার্চ ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত Master Circular on Schedule of Charges নামে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে জানিয়েছে, ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবগুলোর বিপরীতে কোনো প্রকার Account Maintenance Fee বা হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি আদায় করা যাবে না।

Advertisement

এমনকি এই হিসাব চালু রাখার জন্য ন্যূনতম জমার বাধ্যবাধকতা থেকেও হিসাবধারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাই এ ধরনের হিসাবে কোনো টাকা জমা না রাখলে বা লেনদেন চালু না রাখলে হিসাবটি বন্ধ হবে না।

Personal Retail ব্যাংক হিসাবে নেই কোন চার্জ

ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব খুলতে খুব বেশি কাগজপত্র লাগে না। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এ ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন। ব্যক্তিক হিসাব হলেও এটি একটি ব্যবসায়িক চলতি হিসাবের মত ব্যবহার করা যাবে। ব্যাংক, মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) ও লেনদেন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে (পিএসপি) এই হিসাব খোলা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালেই বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ধরণের হিসাব খোলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ঋণ প্রকল্প চালু করতে ব্যাংকগুলোকে বলেছিল। নির্দেশনা অনুযায়ী Bank, MFS ও PSP গুলো এখন ছোট ব্যবসায়ীদের Bank Account খোলার সুযোগ করে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এই হিসাবের বিপরীতে ঋণসেবাও চালু করবে।

উল্লেখ্য, বিকাশ অনেকদিন থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট সেবা দিয়ে আসছে। এই একাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে বা অফলাইনে কাস্টমার থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করা যায়।

Advertisement

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূলত এই হিসাবের বিপরীতে ডিজিটাল লেনদেনের বাংলা কিউআর নেওয়ার ব্যাপারে ছোট ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে একেবারে ছোট কেনাকাটার ক্ষেত্রেও নগদ অর্থ লেনদেন কমে ‘Digital Payment Ecosystem’ গড়ে ওঠার আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমানে একটি সাধারণ ব্যবসায়িক চলতি হিসাব (Current Account) খুলতে একজন ব্যবসায়ীকে Trade License, TIN Certificate সহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ‘Personal Retail Account’ খুলতে তেমন কোন কাগজপত্র লাগছে না, যা তাদেরকে ব্যাংকিং লেনদেনে আনতে সহায়ক হবে।

পাশাপাশি এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের Bangla QR Payment System এর মধ্যে আনা গেলে, নগদ অর্থের লেনদেন যেমন কমবে তেমন গ্রাহক ভোগান্তিও কমে যাবে।

Advertisement

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।