পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড – অফিসিয়াল নিয়ম ২০২৩
যারা আগে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন তাদের এনআইডি রিইস্যুর ফি দিয়ে পুনরায় অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। দেখুন পুরাতন আইডি কার্ড বের করার নিয়ম।
ADVERTISEMENT
অনলাইন থেকে শুধুমাত্র নতুন ভোটাররা আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন। পুরাতন ভোটারগণ যারা ২০১৬/২০১৭ সালের আগে ভোটার হয়েছেন এবং ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে এনআইডি কার্ড পেয়েছেন তারা অনলাইন থেকে আর ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না। তবে এনআইডি একাউন্টে লগইন করে পুরাতন আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
অনলাইন থেকে শুধুমাত্র নতুন ভোটারগণ তাদের NID Card Download করতে পারবেন। পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য হারিয়ে যাওয়া বা নস্ট হওয়ার কারণে থানায় জিডি করে, অনলাইনে রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।
ADVERTISEMENT
এছাড়া, পুরাতন ভোটারদের জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ শেষ হলে ফি দিতে NID Card পাবেন। শিগ্রই প্রায় ১ কোটি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ শেষ হবে।
নতুন ভোটার? ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।
নিচের ছবিতে দেখুন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড বের করার একমাত্র পদ্ধতি হচ্ছে ফি পরিশোধ করে রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।
ADVERTISEMENT
যদি আপনি একজন পুরাতন ভোটার কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার পরও হারিয়ে ফেলেছেন, আপনার জন্য এই ব্লগটি কাজে লাগবে।
কারণ এখানে আমি শেয়ার করবো অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী কিভাবে অনলাইন থেকে আপনি আবার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন।
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড নম্বর উল্লেখ করে আইডি কার্ড হারানোর জিডি করতে হবে। তারপর এনআইডির ওয়েবসাইট- services.nidw.gov.bd থেকে রেজিস্ট্রেশন ও লগইন করে (NID) এনআইডি কার্ড রিইস্যুর আবেদন করতে হবে। আবেদন অনুমোদন হলে আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
অনলাইন থেকে পুরাতন আইডি কার্ড বের করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
১. থানায় সাধারণ ডায়েরী করুন
NID Card বা জাতীয় পরিচয়পত্র হারানো বা নষ্ট হওয়ার জন্য প্রথমে থানায় একটি জিডি করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোর জিডি করতে কোন টাকা লাগে না।
ADVERTISEMENT
আপনার নাম, জন্ম তারিখ ও NID Number উল্লেখ করে আবেদন লিখবেন। হাতে ও আবেদন লিখতে পারেন। আবেদনটির ১ কপি ফটোকপি করবেন।
থানায় আবেদন কপি গুলো জমা দিলে দ্বায়িত্বরত অফিসার জিডি করার পর জিডি নম্বর, তার স্বাক্ষর ও সীল দিবেন।
জিডির আবেদন কিভাবে লিখবেন তা দেখুন- জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোর জিডি লেখার নিয়ম
২. এনআইডি ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করুন
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার দিয়ে NID ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যদি আপনার আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা থাকে লগ ইন করতে হবে।
এনআইডির ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার Face Verification করতে হবে। তাই ফেইস ভেরিফিকেশেনের জন্য অন্য একটি Android মোবাইলে Google Play Store থেকে NID Wallet অ্যাপটি ইনস্টল করে নিন।
- NID ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ভিজিট করুন- জাতীয় পরিচয়পত্রের একাউন্ট রেজিস্টার লিংকে।
- এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা দিয়ে সাবমিট করুন
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সিলেক্ট করুন। ঠিকানা ঠিক থাকলে Face Verification এর জন্য একটি QR কোড দেখানো হবে।
- অন্য মোবাইলে ইনস্টল করা NID Wallet অ্যাপ ওপেন করে QR কোডটি স্ক্যান করুন।
- ফেইস ভেরিফিকেশনের ক্যামেরা সোজাসুজি একবার ধরুন, চোখের পলক ফেলুন। তারপর চোখ ক্যামেরায় রেখে একবার ডানে ও একবার বামে মাথা ঘোরান।
- Face Verification শেষে আপনার এনআইডি একাউন্টের জন্য একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন এবং লগইন করুন।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি ছবিসহ দেখুন-
৩. রিইস্যুর আবেদন করুন
জাতীয় পরিচয়পত্রের একাউন্টে লগ ইন করার পর রিইস্যু লিংকে ক্লিক করুন। তারপর নিচের মত একটি পেইজ আসবে এখানে উপরের ডান পাশ থেকে এডিট বাটনে ক্লিক করুন।
তারপর একটি Pop Up Window আসবে এখানে বহাল বাটনে ক্লিক করুন। এবার তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন।
প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পূরণ করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
৪. রিইস্যুর ফি পরিশোধ করুন
এখানে দেখতে পাবেন- You have total deposit of 0 BDT । এখন আপনাকে রিইস্যুর আবেদনের জন্য ফি দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যুর আবেদন ফি- সাধারণ ৩৪৫ টাকা (ভ্যাট সহ) এবং জরুরী ৫৭৫ টাকা ভ্যাট সহ।
জাতীয় পরিচয়পত্রের রিইস্যু ফি পরিশোধ করার নিয়ম দেখুন:
ফি প্রদান শেষে আবেদনের ধরণ রিইস্যু ও বিতরণের ধরন Regular বা Urgent দিন (রেগুলার হলে রেগুলার আবেদন ফি এবং জরুরী হলে জরুরী আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে।)
৫. এনআইডি রিইস্যুর আবেদন সাবমিট করুন
এরপর উপরের ডান থেকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে আপনার GD Scan Copy বা সোজাসুজিভাবে তোলা ছবি আপলোড করুন। ছবি তুললে অবশ্যই ভাল আলোতে ছবি তুলবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারানো জিডির কপি আপলোড করার পর আপনার আবেদটি সাবমিট করুন। আশা করা যায় ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনার আবেদনটি অনুমোদিত (Approved) হবে।
৬. আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন
আপনার আবেদন অনুমোদন হলে আপনারে মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে নোটিফিকেশন পাবেন। আবেদন অনুমোদন হলে, এনআইডি ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd এ আইডি নম্বর ও সেট করা পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে আপনার পুরাতন আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
শেষকথা
আশা করি পুরো প্রক্রিয়াটি ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। এরপর ও যদি আপনার কোন প্রশ্ন বা সমস্যা থাকে তার উত্তর পেতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্র এই লিংকে।
এরপরও কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করুন আপনার প্রশ্ন লিখে। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কমেন্টের রিপ্লাই দেয়ার চেষ্ঠা করবো।
ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত আরো তথ্য
নতুন আইডি কার্ড | ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড |
ভোটার হওয়ার আবেদন | নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম |
ভোটার তথ্য যাচাই | ফেইস ভেরিফিকেশন ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই |
তথ্য সংশোধন | ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন |
ক্যাটাগরি | জাতীয় পরিচয় পত্র |
হোমপেইজে যান | Eservicesbd |
ADVERTISEMENT
এন আই ডি কার্ড হারিয়ে গেছে। থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নতুন আই ডি কার্ডের জন্য অন লাইনে আবেদন এবং বিকাশের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা হয়েছে। অন লাইনের আবেদন কপি সংশ্লিষ্ট অফিস জমা নেয়নি। পুনরায় কার্ড পাওয়ার প্রক্রিয়াটি ঠিক আছে ? না থাকলে করনীয় কি ?
ঠিক আছে অফিসে জমা দিতে হবে না। তারপরও ১৫ দিনের মধ্যে না পেলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।
আমার আইডি কার্ডের সকল তথ্য অনলাইনে আসে কিন্তু ডাউনলোড করতে পারতেছি না।স্মার্ট কার্ডের কোন তথ্য অনলাইনে নাই।আমি এখনো স্মার্ট কার্ড পাইনি।এখন করণীয় কি?