কিভাবে পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করবেন
জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সর্বোচ্চ দুটি সিম কার্ড ক্রয় করা যাবে। জানুন কিভাবে করবেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একজন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সর্বোচ্চ দুটি সিম কার্ড কিনতে পারবেন।
যেহেতু আমাদের দেশে অনেকেই ১৮ বছর হওয়ার পরও জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পান না। তাই জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া অন্য ডকুমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ২টি সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।
এখন পর্যন্ত বিটিআরসির সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্মে কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্টের তথ্যের সংযুক্তি নেই।
এছাড়া যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র, স্মার্ট এনআইডি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জন্ম নিবন্ধন সনদের বায়োমেট্রিক তথ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কোনো ব্যবস্থা নাই, একজন ব্যক্তি এই পাঁচ ধরণের ডকুমেন্টের বিপরীতে ১৫টি করে সর্বমোট ৭৫টি সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এটি সরকারের নীতিমালার সম্পূর্ণ বিরোধী।
তাই বিটিআরসি অন্যান্য ডকুমেন্ট দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশনের জন্য কয়েকটি শর্ত দিয়েছে।
পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশনের শর্তাবলী
পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশনের র্শতগুলো হচ্ছে,
- এনআইডি ছাড়া অন্যান্য ডকুমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ২টি সিম নিবন্ধন করা যাবে।
- এসব সিম নিবন্ধনের ৬ মাসের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র দ্বারা পুনরায় নিবন্ধন করা না হলে, ফোন নম্বরটি বন্ধ করা হবে।
- এক্ষেত্রে সিমের নিবন্ধন, যাচাই, পুননিবন্ধন, বন্ধ সিম চালু করা, প্রতিস্থাপন, সিম বন্ধ করে দেওয়া ইত্যাদি কাজ শুধুমাত্র অপারেটরদের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে করতে হবে। খুচরা বিক্রেতারা এই সেবা দিতে পারবেন না।
- ৬ মাসের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার ১ মাস পূর্বে গ্রাহকের মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে জানানো হবে।
আমরা সচরাচর যেভাবে আমাদের এলাকায় মোবাইল সিম বিক্রেতাদের থেকে সিম ক্রয় ও রেজিস্ট্রেশন করে থাকি, এখানে থেকে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে হলে, মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব সেবাক্রেন্দ্রে যেতে হবে।
এরকম আরো বিভিন্ন সেবা সংক্রান্ত তথ্য, পরামর্শ ও টিপস পেতে নিয়মিত ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইল।
সকল আপডেটেড তথ্য পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন- Eservicesbd on Facebook