অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম

আপনার এসএসসি বা এইচএসসি সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চান? জানুন সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম ও কি কি লাগে বিস্তারিত সকল তথ্য।

Advertisement

শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র হলো সার্টিফিকেট। কর্মজীবনে চাকরি পাওয়া সহ নানা কারনে সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। কখনো কখনো সার্টিফিকেটে আমাদের নাম, বয়স, পিতা মাতার নাম আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে কিংবা অন্য কোন নথির সাথে মিলেনা।

সেক্ষেত্রে এইচ এস সি অথবা এস এস সি সার্টিফিকেট সংশোধন করে নিতে হবে। যদিও এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া, অন্য কোন উপায় না থাকলে এটি করা ছাড়া অন্য বিকল্প নেই।

তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজ শেয়ার করলাম সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম, অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া, কি কি কাগজপত্র লাগে, কত টাকা ও কতদিন লাগবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।

Advertisement

সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে Online Application লিংকে যান। আবেদন ফরম পূরণ ও  প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করুন। অনলাইনে ফি পরিশোধের পর আবেদনটি সাবমিট করুন। তারপর শিক্ষা বোর্ড আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকবে। সকল ডকুমেন্টস দেখিয়ে ইন্টারভিউ সম্পন্ন করার পর সার্টিফিকেট সংশোধন হবে।

সংশোধন সম্পন্ন হওয়ার এসএমএস আসলে শিক্ষা বোর্ডে আবেদনকারীর একাউন্টে লগইন করে সংশোধিত কপির জন্য আবেদন করে পুনরায় ফি জমা দিবে। পরবর্তীতে এসএমএস আসলে আবেদনকারী শিক্ষা বোর্ডে উপস্থিত হয়ে সংশোধিত সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবে।

আরও পড়ুন:

Advertisement
  • মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সার্টিফিকেট সংশোধন;
  • অনার্স সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম
  • পিএসসি সার্টিফিকেট সংশোধন

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে 

অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য কিছু ডকুমেন্টস লাগে। এছাড়া আবেদনের পর নিজস্ব বোর্ড থেকে যাচাই করনের জন্য সকল ডকুমেন্টস নিয়ে যেতে হয়। যেমন-

  • শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ (জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে তার কপি);
  • পিতা মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র;
  • এফিডেভিট/ নোটারি পাবলিক/ হলফনামা;
  • পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের কপি। (সার্টিফিকেট সংশোধনের তথ্য উল্লেখ থাকতে হবে;
  • প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট;
  • বোর্ড পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড/ প্রবেশপত্র/ট্রান্সক্রিপ্ট এর মুলকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
  • অনলাইনে আবেদন করে থাকলে আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি;
  • অনলাইনে বা অফলাইনে নির্ধারিত ফি পরিশোধের স্লিপ।

সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য নোটারি পাবলিক 

লটারি পাবলিক বা এফিডেভিট কোন নিবন্ধিত সরকারি আইনজীবী থেকে সংগ্রহ করতে হবে। শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেটের নাম, জন্ম তারিখ, পিতা মাতার তথ্য সংশোধনের উল্লেখ করে এফিডেভিট সংগ্রহ করবেন। 

প্রতারণা থেকে বাঁচতে বিবেচ্য: নোটারি বিধিমালা ৬০(ক) অনুযায়ী, একজন নোটারিয়ান এর নির্দিষ্ট কার্যালয় থাকবে। এবং তাকে অবশ্যই কমপক্ষে ৭ বছর আইনজীবী হিসেবে কর্মরত কিংবা ৫ বছর বিচার বিভাগের সদস্য হিসেবে থাকতে হবে। 

সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন

সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদনের পূর্বে যেকোনো দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে। উক্ত বিজ্ঞাপনে সার্টিফিকেটের বর্তমান তথ্য ও কাঙ্ক্ষিত সংশোধনী তথ্য উল্লেখ করতে হবে। আপনার প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের কাঁটা অংশ বা কপি সাথে রাখতে হবে।

Advertisement

ঘরে বসেই পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করার জন্য https://procharok.com/ এই লিংকে ভিজিট করতে পারেন। আপনার কাঙ্খিত যেকোন পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য এখানে আবেদন করতে পারবেন। 

অনলাইন সার্টিফিকেট সংশোধন ফরম পূরণ করার নিয়ম 

অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম বিভিন্ন বোর্ডে ভিন্ন ভিন্ন। বিশেষ করে ঢাকাতে পরীক্ষার থেকে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হয়। তবে অন্যান্য বিভাগে অনলাইনে নিজে নিজেই প্রাথমিক আবেদন করা যায়।

উদাহরণ হিসেবে, নিচে কুমিল্লা বোর্ডের সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম দেখানো হলো:

ধাপ ১: শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে যান

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য কুমিল্লা বোর্ডের ওয়েবসাইট https://comillaboard.portal.gov.bd এই লিংকে ভিজিট করুন।

Advertisement

হোমপেজ থেকে কিছুটা স্ক্রল করে নিতে আসলেই Internal eServices অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে সার্টিফিকেট সংশোধন করার প্রক্রিয়া ও আবেদনের অপশন থাকবে। নাম ও বয়স সংশোধনের জন্য ২ নং অপশনে ক্লিক করুন।

সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম

ধাপ ২: সংশোধনের তথ্য নির্বাচন

সার্টিফিকেট সংশোধন ফরম ওপেন হলে আপনি সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন করতে চান নাকি বয়স, চা সিলেক্ট করুন। ১৯৯৬ সালের পুরনো সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য Name Correction (Before 1996) অপশনে যেতে হবে।

সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম

ধাপ ৩: সার্টিফিকেটের তথ্য প্রদান

আপনি কোন কোন সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চান তা সিলেক্ট করুন। যেমন- JSC, SSC, HSC। এসএসসি সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চাইলে JSC ও SSC এর পাশের সন, রোল নাম্বার ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখুন। 

HSC সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চাইলে JSC, SSC, HSC এর পাশের সন, রোল নাম্বার ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখতে হবে। এবার Find Data অপশনে ক্লিক করুন। আপনার দেওয়া তথ্য সঠিক থাকলে সার্টিফিকেটের বিস্তারিত দেখতে পাবেন।

ধাপ ৪: সার্টিফিকেট সংশোধন ফরম পূরণ ও ডকুমেন্ট আপলোড 

এই ধাপে, আপনার সার্টিফিকেটে থাকা- নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, পাশের সন, শিক্ষাবছর/সেশন, রোল নাম্বার, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, জন্মতারিখ- এ সকল তথ্য দেখতে পাবেন। 

আপনি যেই সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চান সেই সার্টিফিকেটের পাশের টিক মার্ক দিন। (Example: Information of SSC ✅) একজন শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য ১ বারই আবেদন করতে পারবে। তাই প্রয়োজনীয় সকল সার্টিফিকেট সংশোধন করুন।

শিক্ষার্থীর নাম, পিতার নাম ও মাতার নামের নিচে Correction অপশন দেখতে পাবেন। সেই ঘরে আপনার কাঙ্ক্ষিত সংশোধনী নামটি লিখুন।

সার্টিফিকেট সংশোধন ফরম

সংশোধনী তথ্যের পাশাপাশি নিচে- 

  • আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম সিলেক্ট করুন;
  • লটারি পাবলিকের নিকট থেকে সংগ্রহ করা এফিডেভিট এর মুলকপি স্ক্যান করে আপলোড করুন;
  • যেই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, তার প্রথম পাতা সহ আপনার বিজ্ঞাপনের পাতার ছবি আপলোড করুন;
  • আবেদনকারী শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিন।

(বি:দ্র: উপরোক্ত সকল ছবিগুলোর সাইজ সর্বোচ্চ 3MB এর নিচে হবে)

ধাপ ৫: অন্যান্য ডকুমেন্টস আপলোড

নিচে ঐচ্ছিক ভাবে অন্যান্য ডকুমেন্টস আপলোড করার একটি অপশন পাবেন। এগুলো বাধ্যতামূলক নয় তবে আপলোড করলে আবেদন এপ্রুভ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমন ডকুমেন্টসগুলো হলো:

  • শিক্ষার্থীর ভর্তি রেজিস্টার;
  • PSC সার্টিফিকেট;
  • জন্ম সনদ;
  • ভাই বোনের সনদ;
  • ওয়ারিশ সনদ;
  • রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা প্রবেশপত্রের মূল কপির স্ক্যান কপি;
  • পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপির স্ক্যান কপি। 

সকল ডকুমেন্টস আপলোড হলে নিচের Confirm অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে ও পেমেন্ট অপশনে যান। 

ব্যাস, সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এবার আবেদনের কপি ও সংশোধন ফি পরিশোধের জন্য ‘সোনালী স্লিপ’ নামে একটি স্লিপ পাবেন। এগুলো প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করুন।

ধাপ ৬: সংশোধন ফি পরিশোধ

সোনালী স্লিপ ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ থেকে ফি দিতে পারবেন। অথবা সোনালী ব্যাংক থেকে সংশোধন ফি পরিশোধ করে পেমেন্ট স্লিপ সংরক্ষণ করুন। ৭ দিনের মধ্যে ফি পরিশোধ না করলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। 

একটি সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন ফি ৬৫০ টাকা। তাই JSC ও SSC সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন করলে ১৩০০ টাকা ফি দিতে হবে। (বি:দ্র; প্রতিটি বিভাগের সংশোধন ফি ভিন্ন)

এভাবে, ফি পরিশোধের পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ আবেদন গ্রহণ করবে। ২-৩ মাসের মধ্যে আবেদন সম্পর্কিত ইন্টারভিউ এর জন্য কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে আপনাকে ডাকা হবে।

সার্টিফিকেট এর বয়স সংশোধনের জন্য আবেদন

সার্টিফিকেটের বয়স সংশোধনের জন্য, উপরোক্ত নিয়মে ওয়েবসাইটে Internal eServices পেজে প্রবেশ করে Age Correction অপশনে ক্লিক করুন। 

এবার, আপনার সার্টিফিকেটের রোল নাম্বার, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, পাশের সন দিন। তারপর Find Data অপশনে ক্লিক করলে সকল তথ্য আসবে।

সার্টিফিকেট সংশোধন ফরম

Date of birth অপশনের পাশে Correction অপশন পাবেন। সেখানে কাঙ্ক্ষিত জন্ম তারিখ দিন। তারপর আপনার বিদ্যালয়ের নাম ও পেশা (Profession) সিলেক্ট করুন। 

ডকুমেন্ট হিসেবে জন্ম সনদ, এফিডেভিট, পত্রিকার পাতা, পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করুন। সর্বশেষ, Confirm অপশনে ক্লিক করুন। পরবর্তী ধাপে পেমেন্ট অপশনে গিয়ে ফি পরিশোধ করুন। 

কুমিল্লা বোর্ডের একটি সার্টিফিকেটের বয়স সংশোধন ফি ৭৫০ টাকা। তাই JSC ও SSC সার্টিফিকেটের বয়স সংশোধন করলে ১৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। (বি:দ্র; প্রতিটি বিভাগের সংশোধন ফি ভিন্ন)

বিভিন্ন বোর্ডের সার্টিফিকেট সংশোধন আবেদনের লিংক

বোর্ডের নামসংশোধন ওয়েবসাইট লিংক
মাদরাসা বোর্ডefiling.ebmeb.gov.bd/index.php/eservice
কুমিল্লা বোর্ডhttps://nameage.comillaboard.gov.bd/
চট্টগ্রাম বোর্ডhttps://name.bise-ctg.gov.bd/
যশোর বোর্ডhttps://app.jessoreboard.gov.bd/index.php/name
সিলেট বোর্ড https://application.sylhetboard.gov.bd/index.php/online

সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম ঢাকা বোর্ড

ঢাকা বোর্ডের সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য নিজ বিদ্যালয় বা কলেজ থেকেই আবেদন করতে হবে। আপনার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট সার্টিফিকেট সংশোধনের বিষয়ে জানান। প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার অপারেটর আপনার আবেদন সাবমিট করতে সহযোগিতা করবেন।

পূর্বে ঢাকা বোর্ডের সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য শিক্ষার্থীর নিজে আবেদন করতে পারতো। তবে বর্তমানে বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী শুধুমাত্র শিক্ষার্থীর নিজস্ব বিদ্যালয়/ কলেজ থেকেই আবেদন করতে পারবে।

সার্টিফিকেটের তথ্য ও সংশোধনের কারণ বলুন। প্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার অপারেটর আবেদনের সাহায্য করবে। আবেদনের ধাপগুলো হলো:

  • Educational Board Dhaka ভিজিট করুন;
  • হোমপেজ এর মেন্যু থেকে Online Application সিলেক্ট করুন;
  • ‘নাম ও বয়স সংশোধনের আবেদন’ অপশনে ক্লিক করে- আবেদন ফরম সিলেক্ট করুন;
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN নাম্বার ও Password দিয়ে সাইন ইন করুন (বি:দ্র; প্রতিটি বিদ্যালয়কে পূর্বেই শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট রেজিস্টার করা থাকতে হয়);
  • তারপর পর্যায়ক্রমিকভাবে উপরোক্ত নিয়মে সংশোধনের আবেদন করুন ও ফি পরিশোধ করুন।

সার্টিফিকেট সংশোধনের নিয়ম অনুযায়ী, ৩-৪ মাসে সংশোধিত কপিটি দেওয়া হয়।

সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম চট্টগ্রাম বোর্ড

চট্টগ্রাম বোর্ডের সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য ভিজিট করুন https://name.bise-ctg.gov.bd/ এখানে Name Correction অথবা Age Correction অপশন সিলেক্ট করে সংশোধনী তথ্য দিয়ে আবেদন সাবমিট করুন। এরপর অনলাইনে ফি পরিশোধ করে সার্টিফিকেট সংশোধন আবেদন সম্পন্ন করুন।

সার্টিফিকেট সংশোধনী তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ডে ইন্টারভিউ

আবেদন ও ফি পরিশোধের পর শিক্ষার্থীর নামে নিজস্ব একটি সার্ভিস একাউন্ট খোলা হবে। সেখানে আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন। কিছুদিন পর এসএমএস বা ফোন কল এর মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ড থেকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে। নির্দিষ্ট দিনে আপলোডকৃত সকল ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন।

তথ্য যাচাইয়ের পর সার্টিফিকেটের সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তারপর নতুন সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে পারবেন।

সংশোধিত সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন করার নিয়ম

আবেদন ও ফি পরিশোধের ৩ মাস পর (কিছু ক্ষেত্রে বেশি) সার্টিফিকেট সংশোধন সম্পন্ন হলে এসএমএস এ জানানো হবে। আবেদনকারী শিক্ষার্থী শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে তার নিজের একাউন্টে লগইন করে ‘সংশোধিত কপি উত্তোলন’ অপশন পাবে। সেই অপশন থেকে নিজেই ঘরে বসে সংশোধিত কপি পাওয়ার আবেদন করতে পারবে।

সার্টিফিকেটের নতুন কপি সংগ্রহের জন্য পুনরায় সার্টিফিকেট প্রতি নির্ধারিত ফি (৫৫৮/৬৫০/৭৫০ টাকা – শিক্ষা বোর্ড ভেদে) দিতে হয়।

পরবর্তীতে মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে নতুন সার্টিফিকেট সংগ্রহের তারিখ জানানো হবে। শিক্ষার্থী শিক্ষা বোর্ডে উপস্থিত হয়ে তা সংগ্রহ করতে পারবে।

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে সংশোধন ফি, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, নোটারি পাবলিক ও সার্টিফিকেট কপি উত্তোলন ফি সহ ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা লাগে।

সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়মে সংশোধন ফি শিক্ষা বোর্ড ভেদে ভিন্ন। প্রতিটি শিক্ষা বোর্ড তাদের নিজস্ব নীতিমালায় ফি নির্ধারণ করে।

উদাহরণস্বরূপ: ঢাকা বোর্ডের সংশোধন সার্টিফিকেট সংশোধন ফি ৫৫৮ টাকা। JSC ও SSC সার্টিফিকেটের বয়স সংশোধন করতে

  • সংশোধন ফি, ৫৫৮× ২= ১১১৬ টাকা;
  • সংশোধিত কপি উত্তোলন ফি, ৫৫৮× ২= ১১১৬ টাকা;
  • নোটারি পাবলিক বাবদ= ৫০০-১,০০০ টাকা;
  • পত্রিকায় বিজ্ঞাপন বাবদ= ৫০০-১,০০০ টাকা;
  • এবং যাতায়াত খরচ।

সর্বমোট ৪,০০০-৫,০০০ টাকা খরচ হবে।

শেষকথা

অনলাইনে ও অফলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য আবেদন করা যায়। তবে অফলাইনে সরাসরি শিক্ষা বোর্ডে উপস্থিত হতে হয়। তাছাড়া দালালের প্রতারণা শিকার হতে হয়। তাই সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করুন।

FAQ’s

অনলাইনে আবেদন করে ফি পরিশোধ করার পর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৩ মাস বা এর বেশি সময় লাগতে পারে।

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে সংশোধন ফি, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, নোটারি পাবলিক ও সার্টিফিকেট কপি উত্তোলন ফি সহ ৪০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা লাগে।

একজন শিক্ষার্থী ১ বার সার্টিফিকেট সংশোধন করতে পারবে। তাই সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করার সময় একবারেই সকল সার্টিফিকেটের তথ্য সংশোধনের আবেদন করতে হবে।

সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করার পর একটি সোনালী স্লিপ দেওয়া হয়। সেই পেমেন্ট স্লিপের নির্দেশনা অনুযায়ী বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে বা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।

সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তনের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, হলফনামা ও জন্ম নিবন্ধন লাগে।

Advertisement

Similar Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।