আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনের পর, বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ক্লিয়ারেন্স কার্ড ডাউনলোড করতে হয়। দেখুন কিভাবে বিএমইটি কার্ড চেক করবেন এবং বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করবেন।

Advertisement

BMET Card Download করার জন্য অবশ্যই আপনাকে আমি প্রবাসী রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।

আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন সফল হওয়ার পর আপনি একটি BMET Card পাবেন যেটিকে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ডও বলা হয়। এরপর ক্লিয়ারেন্স আবেদনের পর BMET Smart Clearance Card দেয়া হয়। যেটি বিদেশ যাওয়ার জন্য শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক ও জরুরী একটি ডকুমেন্ট।

বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনার স্মাট ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। আসুন দেখে নিই কিভাবে বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করবেন।

Advertisement

বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড

আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য নিচের সহজ ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  • ভিজিট করুন AmiProbashi.com;
  • উপরে মেন্যু থেকে ”Clearance Card” মেন্যুতে ক্লিক করুন;
  • Passport নাম্বার লিখুন;
  • ক্যাপচা কোডটি পূরণ করে ”Search” বাটনে ক্লিক করুন;
  • বিএমইটি কার্ডের PDF ভার্সন ডাউনলোড করুন।

বিএমইটি কার্ডটি এবার কালার প্রিন্টারে প্রিন্ট করে লেমিনেট করে ব্যবহার করুন।

বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড

বিএমইটি কার্ড কি

বিএমইটি কার্ড হলো বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (BMET) কর্তৃক প্রদত্ত একটি পরিচয়পত্র। এই কার্ডকে BMET Smart Card বা ম্যান পাওয়ার কার্ড ও বলা হয়।

Advertisement

এই কার্ডটি বিদেশে চাকরি করতে আগ্রহী সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের নিতে হয়। বিএমইটি কার্ডের জন্য আবেদন করার পর, বিএমইটি কর্তৃপক্ষ একজন কর্মীর শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কর্মীকে বিএমইটি কার্ড প্রদান করা হয়।

বিএমইটি কার্ডের মূল উদ্দেশ্য হলো বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এই কার্ডের মাধ্যমে কর্মীরা তাদের বিদেশী নিয়োগকর্তা, কর্মসংস্থান এজেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

এছাড়াও, এই কার্ডটি বিদেশে কর্মরত কর্মীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রেও সহায়তা করে।

বিএমইটি কার্ডের মেয়াদ ১ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কার্ডটি নবায়ন করতে হবে।

Advertisement

বিএমইটি করতে কি কি লাগে

বিএমইটি কার্ড করতে নিম্নোক্ত যোগ্যতা ও কাগজপত্র লাগে।

বিএমইটি আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত যোগ্যতাসমূহ পূরণ করতে হবে:

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে;
  • বয়স ১৮-৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে;
  • ন্যূনতম ৮ম শ্রেণি পাস হতে হবে;
  • শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে কর্মক্ষম হতে হবে;

বিএমইটি কার্ড করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহ হলো:

  • পাসপোর্টের ফটোকপি;
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ফটোকপি;
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি;
  • ছবি (৩x৪);
  • বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ড ফি 5600 টাকা।

বিএমইটি কার্ড সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন

বিএমইটি মানে হচ্ছে “Bureau of Manpower Employment and Training” যেটি বাংলায় জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।

Advertisement

বিএমইটি কার্ড করার জন্য প্রথমে Ami Probashi Registration করতে হবে। তারপর BMET Clearance কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে।

বিএমইটি কার্ড পাওয়া যাবে বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে। তবে এজন্য BMET অফিশিয়াল অ্যাপ ”আমি প্রবাসী” তে রেজিস্ট্রেশন করে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স আবেদন করতে হবে। অনুমোদন হলে অনলাইন থেকেই স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

বিএমইটি ম্যান পাওয়ার কার্ড করতে সরকারি ফি ৫৬০০ টাকা এবং বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন ফি ৩০০ টাকাসহ মোট ৫৯০০ টাকা লাগে।

Advertisement

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।