অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম ২০২৪

জানুন কিভাবে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করবেন, কি কি কাগজপত্র লাগবে, জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ও আবেদন ফি কত।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
  • Save

ADVERTISEMENT

আপনি যদি আপনার শিশু বা অন্য কারো জন্ম নিবন্ধন করতে চান, এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক কাজে আসবে। কারণ অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম (Jonmo Nibondhon Abedon Form Online) পূরণ করতে কি কি লাগবে এবং নির্ভুলভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ছবিসহ বিস্তারিত দেখানো হলো।

বর্তমানে আর হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করে আবেদন করা যায়না। আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরন করতে হবে।

ADVERTISEMENT

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য https://bdris.gov.bd/ সাইটে ভিজিট করে জন্ম নিবন্ধন আবেদন লিংকে যান। এরপর যে ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করবেন তা সিলেক্ট করে নাম, জন্ম তারিখ, পিতা মাতার নাম, ঠিকানা পূরণ করে আবেদন করুন। তারপর আবেদনের প্রিন্ট কপি ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিন।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।

ADVERTISEMENT

কোন অসুবিধার কারণে ৪৫ দিনের মধ্যে করতে না পারলেও আমার পরামর্শ থাকবে আপনার শিশুর ৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন (Jonmo Nibondhon) করিয়ে নিবেন। অন্যথায়, ৫ বছর বয়স অতিক্রান্ত হলে জন্ম নিবন্ধন করতে অনেক অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় এবং ঝামেলা পোহাতে হয়।

নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন, সংশোধন ও অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পেতে নিচের দেয়া লিংকে পড়ুন।

জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে

  • ইপিআই টিকা কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র
  • হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ
  • আবেদনকারী পিতা বা মাতার মোবাইল নম্বর

শিশুর বয়সভেদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে। জন্ম নিবন্ধন করার নিম্মোক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে;

ADVERTISEMENT

শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলেঃ

  • ইপিআই (টিকা) কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র
  • বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
  • আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
  • পিতা ও মাতার ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)

শিশুর বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর হলেঃ

  • ইপিআই (টিকা) কার্ড / স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যায়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
  • বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
  • আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
  • Jonmo nibondhon form online আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

৫ বছরের বেশি শিশু বা ব্যক্তির জন্যঃ

  • বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী)
  • সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
  • অথবা, জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র
  • অথবা, জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)

৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্ম নিবন্ধন করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই ব্লগে – বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে যা লাগে

আরও পড়ুন:

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন

ADVERTISEMENT

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম

আমাদের অনেকেই জানেন না জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়। তাই এই ব্লগে আমি সব কিছু বিস্তারিত শেয়ার করলাম।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদনের পুরাতন ওয়েবসাইটটি পরিবর্তন করে নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক – https://bdris.gov.bd/br/application

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

ধাপ ১: নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা

অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রথমে আপনার কম্পিউটার থেকে https://bdris.gov.bd/ এই লিংকে ভিজিট করুন। এখানে নিচের মত একটি পেইজ পাবেন।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
  • Save

আপনি কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করাতে চান, এখানে তা বাছাই করুন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ
  • Save

অর্থাৎ যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে চান, সেটি নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির কোন ঠিকানায় তা এখানে নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

নামের ২ টি অংশ থাকলে ১ম অংশটি নামের প্রথম অংশের ঘরে লিখবেন ও ২য় অংশটি নামের শেষের অংশে লিখবেন।

যদি নামের ৩টি অংশ থাকে ১ম ২টি অংশ নামের প্রথম অংশে লিখবেন এবং শেষ অংশটি নামের শেষের অংশের ঘরে লিখবেন।

যদি নাম ১ শব্দে হয় অর্থাৎ নামের অংশ ১টি হয়, এক্ষেত্রে প্রথম অংশ খালি থাকবে। শুধুমাত্র নামের শেষ অংশে নাম লিখবেন।

একইভাবে ইংরেজিতেও পূরণ করবেন। এছাড়া, অন্যান্য তথ্যসমূহ ও জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করুন।

সবশেষে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ২: পিতা ও মাতার তথ্য – Father’s and Mother’s Information

এই ধাপে নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির পিতা ও মাতার অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জাতীয়তা দিতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন
  • Save


এখানে পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখার পর স্বয়ংক্রীয়ভাবে নামসমূহ আসবে। এগুলো আপনি এডিট করতে পারবেন না।

এজন্য, পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল বা অনলাইন কিনা তা অবশ্যই আগে যাচাই করে নিবেন। বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না থাকলে, শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবেনা।

নিচের লিংক থেকে চেক করে দেখুন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল কিনা।

তবে, নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্ম তারিখ ২০০০ সাল বা তার পূর্বে হলে, পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন এবং পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলেও চলবে।

তথ্যগুলো পূরণ করা শেষে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৩: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা – Present and Permanent Address

এ পর্যায়ে আপনাকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য প্রদান করতে হবে। নিচের ছবিটি দেখুন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
  • Save

এখান থেকে, কোনটিই নয় বাটনে ক্লিক করুন। এরপর নিচের ছবির মত ঠিকানা দেওয়ার অপশন পাবেন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ
  • Save

স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে, জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে চেক বক্সে টিক দিন (লাল বক্সে চিহ্নিত)। এছাড়া বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রেও স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে (লাল বক্সে চিহ্নিত) চেক বক্সে টিক দিন।

অন্যথায়, ঠিকানাগুলো নির্বাচন করে দিন এবং গ্রাম, বাসা ও সড়ক নম্বর লিখে দিন। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪: আবেদনকারীর তথ্য

এ ধাপে যিনি এই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছেন, তার তথ্য দিতে হবে। সাধারণত একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়ী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী বা আইনগত অভিভাবক। তাই শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন তারাই করে থাকেন।

তাছাড়া আপনি নিজেও নিজের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করুন।  অথবা, পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী ইত্যাদি সিলেক্ট করবেন।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
  • Save

সবকিছু ঠিক থাকলে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদনটি সম্পন্ন করুন।

ধাপ ৫: জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট

সফলভাবে jonmo nibondhon online ফরমটি সাবমিট হলে আপনি জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করার অপশন পাবেন। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরম প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে।

আবেদন প্রিন্ট করার সময় খেয়াল করবেন, প্রিন্টে যেন Headers and Footers information গুলো দেখা যায়। কারণ Header Information এ আপনার আবেদনের Application ID থাকবে। এছাড়া Application ID আর কোথাও দেখা যায় না।

যেহেতু Application ID ছাড়া আপনার জন্ম নিবন্ধনের আবেদনটি খুঁজে বের করা যাবে না, তাই জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট কপিতে যেন অবশ্যই থাকে।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট
  • Save

জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট করার সময়, Print Option থেকে More Settings এ ক্লিক করুন। এরপর Headers and Footers অপশনে টিক দেয়া না থাকলে টিক দিয়ে প্রিন্ট করুন।

আবেদনের সাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিবেন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই

পরবর্তীতে আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিনা তার অবস্থা জানতে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে পারবেন অনলাইন থেকে।

আপনার আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন চেক করে জেনে নিন আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন হয়েছে কিনা।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার জন্য আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা কাউন্সিলর অফিস যেখানে আবেদন করেছেন সেখানে যেতে হবে। আবেদন বাতিলের জন্য অবশ্যই আবেদনের Application ID জানতে হবে। আবেদনটি কেন বাতিল করতে চান তার কারণ দেখিয়ে আবেদন বাতিল করার জন্য অনুরোধ করুন।

এছাড়া নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে জমা না দিলে তা স্বয়ংক্রীয় বাতিল হয়ে যাবে।

যদি আপনি আবেদনে কোন প্রকার ভুল করে থাকেন, আবেদনটি বাতিল করে আবার নতুনভাবে ফরম পূরণ করতে পারবেন। অফিসে গিয়ে বাতিল না করতে পারলে সেক্ষেত্রে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এরপর আবার আবেদন করা যাবে।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদনের ভিডিও

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করতে হয়?

শিশুর বা কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি ও অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দিতে হবে।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে?

শিশুর/ ব্যক্তির বয়স অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিছুটা ভিন্ন হবে। বয়স ৫ বছরের বেশি হলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের অতিরিক্ত ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে। জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে তা জানতে পড়ুন- জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে

জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়?

জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে করতে হয়।

জন্ম নিবন্ধন কখন করতে হয়?

সাধারণত শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করানো উত্তম। তবে শিশুর ৫ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা সুবিধাজনক। এর বেশি বয়স হলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনেক বেশি দিতে হয় যা অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ।

জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?

জন্ম নিবন্ধনের ফির পরিমাণ জানতে পড়ুন জন্ম নিবন্ধন ফি

জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?

না। জন্ম নিবন্ধন ২য় বার করা যাবে না। স্বয়ংক্রীয়ভাবে সার্ভারে ডুপ্লিকেট এন্ট্রি দেখাবে।

কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করতে হয়?

কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করবেন তা বিস্তারিত দেখতে পড়ুন – নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে কি স্বামীর নাম লেখা যাবে?

না। জন্ম নিবন্ধনে স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নেই। পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে।

পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে?

২০২৩ সালের নতুন আপডেট অনুসারে, ২০০১ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়া শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা যাবে না।

জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ সমস্যার সমাধান কি?

‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় হলে অথরাইজড ইউজার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) প্রয়োজনীয় অনু্সন্ধান করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন। ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় না হলে প্রথমে প্রশাসনিকভাবে ভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগ করে অনু্সন্ধান বা তদন্ত করতে হবে। এতে ডুপ্লিকেট হওয়ার অনুকুলে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে আবেদনকারীকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছে থেকে অন্যত্র তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি মর্মে লিখিত নিয়ে আবেদনটি মঞ্জুর করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে।

৫টি ‘প্যারামিটার’ মিলে গেলে ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ ১০০% ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে প্রতীয়মান হয়। প্যারামিটারগুলো হচ্ছে ক. আবেদনাধীন বাক্তির নাম, খ. পিতার নাম, গ. মাতার নাম, ঘ. নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম, এবং ঙ. জন্ম তারিখ। ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিগণের জন্ম তারিখের ব্যবধান ৮ /১০ বছর বা তার বেশি হলে বা স্থায়ী ঠিকানা না মিললে ‘ডুপ্লিকেট’ হবার সম্ভাবনা সাধারণত ০% হয়ে যায়।

জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক কোনটি?

বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক হচ্ছে – https://bdris.gov.bd/

জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আরো বিভিন্ন টিপস, পরামর্শ ও তথ্য জানতে পড়ুন- জন্ম নিবন্ধন

জন্ম নিবন্ধন নিয়ে আরো তথ্য

  1. জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই
  2. জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
  3. জন্ম নিবন্ধন বাংলা থেকে ইংরেজি
  4. জন্ম নিবন্ধন যাচাই
  5. জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে না থাকলে কি করতে হবে
  6. জন্ম নিবন্ধন প্রতিলিপির জন্য আবেদন

ADVERTISEMENT

Similar Posts

32 Comments

  1. আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধন করেছিলাম 20/04/2014 এখন সে ক্লাস ৩ য় শ্রেণীতে পড়ে ৮ বছর হয় নাই, স্কুল থেকে বলছে তার জন্ম সাল দিতে হবে 20/12 2013 এখন আমার করনীয় কী?

    1. জন্ম নিবন্ধনের তারিখ সংশোধন করা কঠিন। টিকা কার্ড প্রমাণ হিসেবে দিয়ে সংশোধন করতে পারবেন। আর নয়তো ৮ বছর হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ২ তেই রাখুন।

    2. ইউপি অফিসে গিয়ে আবেদন করলেই হবে।।

      যদি আপনার সন্তানের আগের আবেদন কপিটি অনলাইনে থাকে তাহলে ভালো।।
      আর না থাকলে পূনরায় আবেদন করতে হবে। এতে আপনাকে অনেক সময় এবং টাকা ব্যায় করতে হবে।।।

  2. আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছিলাম.আমাকে এপ্লিকেশন আইডি পাঠিয়েছে.কিন্তু এপ্লিকেশন আইডি ডিলিট হয়ে গেছে. এখন এপ্লিকেশন আইডি নাম্বার কি ভাবে পাব?

  3. ভাই আমি ২০০০ সালে জন্ম গ্রহণ করেছি। জন্ম নিবন্ধন নামের সাথে শিক্ষা সনদের নামের সাথে কোন মিল নেই। তাই আমি চাচ্ছি একই নামে নতুন করে জন্ম সনদ তৈরী করতে, তাই পিতা মাতার জন্মসনদ ডিজিটাল করা না তাতে কি কোন সমস‍্যা হবে?

    1. 20010337376000327 জন্ম নিবন্ধন রেজিস্টার করুন নাম আশরাফ আলী ইলেকট্রনিক চাকঢালা বাজার নাইৎক্ষছড়ি বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইল আমি তোমাকে ফেসবুক থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার সবগুলো সাইট থেকে আপনি বিনামূল্যে জন্য শ্রেষ্ঠ মানুষ হত্যা করছে

  4. আমার স্ত্রীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আছে। বিয়ের পর পদবী পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে। যেমন বিয়ের আগে ছিল চন্দনা রানী চৌধুরী। বিয়ের পরে হয়েছে চন্দনা রায়। এখন কি পদবী পরিবর্তন করে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা যাবে? যদি যায় তাহলে কি পেপারস লাগবে?

  5. আমার বাবার বয়স ৭৫ বছর। ওনার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। ওনার জন্মস্থান গ্রামে। এখন ওনি ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা। ওনি প্রতিবছর হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করেন। ওনার জন্ম নিবন্ধন করার জন্য কি কি পেপারস লাগবে?

    1. ওনার আগের জন্ম নিবন্ধন না থাকলে করতে পারেন। বয়স প্রমাণের জন্য জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃক বয়স প্রমাণ পরীক্ষার রিপোর্ট লাগতে পারে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট এগুলো দিয়ে আগে যোগাযোগ করে দেখুন।

  6. ভাই আমার জন্ম ১৯৯৭ আমি জন্ম নিবন্ধন করি নাই, নতুন করে করবো আমার কি কি ডকুমেন্ট লাগবে,আর আমি স্কুলে ও পরি নাই প্রতয়ন পত্র নাই আমার সমাধান কি বলবেন

  7. আপনাদের অ্যাপটি আপডেট করা প্রয়োজন, এটা খুব বাজে।প্রযুক্তি তে আপনার অনেক পিছিয়ে।
    আর সব উল্টা পাল্টা নিয়ম করে রেখেছেন, আমার মনে কিছু হিন্দু লোক দিয়ে এই জন্ম নিবন্ধন সার্ভার টি প্ররিচালনা করা হয়।যার কারলে MD. MST. বলতে গেলে (.) ডট দেওয়া যায় না।কিন্তু প্রতিটি মুসলিম সন্তানের নামে প্রায় ডট আছে।হিন্দুদের তো আর নেই তাই, এই অপশন রাখেন নি।
    আর একটি ভূল হচ্ছে পিতা ও মাতার জাতীয়তা যে কোনো দেশে হতে পারে, কিন্তু আমাদের যা প্রয়োজন হয় তা নাই। ফাইজলামি করেন।ধরেন আমার মায়ের জাতীয়তা ইয়েমেন দরকার কিন্তু আপনাদের সার্ভারে নাই। এই হলো সার্ভার

  8. পিতা ও মাতার কততম সন্তান সেটা কিভাবে দেবো? এক স্বামীর ২টা স্ত্রী ।
    ১ম স্ত্রীর
    ১ম সন্তান: জাবেদ
    জন্ম তাং: ০১/০১/২০০১
    ২য় সন্তান: জাহেদ
    জন্ম তাং: ০১/০১/২০০৩
    ২য় স্ত্রীর
    ১ম সন্তান: হেলাল
    জন্ম তাং: ০১/০১/২০০১
    ২য় সন্তান: বেলাল
    জন্ম তাং: ০১/০১/২০০২
    প্লিজ উত্তর দিবেন।

  9. আমি জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়েছিলাম আমার মেয়ে নাম মুবাশশিরা তারা বলেছে আগে পরে কিছু লাগাতে হবে। সিঙ্গেল নাম রাখলে সমস্যা কি।

  10. আমি জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট করতে পারছি না। প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করলে একটা পপ-আপ আসে:
    This is a replacement for whitelabel error page. Exception occured

    এটা কিভাবে সলভ করবো বুঝতে পারছি না। একটু হেল্প করবেন, প্লিজ?

  11. আমি জানতে চাই ব্যাক্তিগত ভাবে অনলাইনে জন্ম সনদের জন্য আবেদন খুলবে কি না
    মানে ব্যাক্তি আগে নিজেই তার অনলাইনে জন্ম সনদের আবেদন করতে পারতো এখন সেটা বন্ধ আছে
    আমি জানতে চাই খুলবে কি না

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।