জানুন সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি ২০২৪

আপনি কি কাজের ভিসায় সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন বর্তমানে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ভিসা পেতে কি কি প্রয়োজন।

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
  • Save

ADVERTISEMENT

বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ সৌদি আরবে গমনকারী প্রবাসীই শ্রমিক ভিসায় যায়। তবে আমরা অনেকেই জানিনা সৌদি আরবে কোন কাজে চাহিদা বেশি। হলে অদক্ষ জনশক্তি সৌদি আরবে গিয়ে কাজ না পাওয়ার ভোগান্তিতে ভোগে।

তাই আপনার দক্ষতার সাথে মিল রেখে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিন আজকের আলোচনায়।

ADVERTISEMENT

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমানে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা প্লাম্বিং, ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিশিয়ান, অটোমোবাইল ও এসি টেকনিশিয়ানের কাজে। এসব কাজে প্রতি বছর ৫০০০ দক্ষ কর্মী নেওয়ার কথা জানায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম।

গত ৭ই‌ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (মঙ্গলবার) তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাঁচটি খাতে পেশাদার ও দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেবে সৌদি আরব। এগুলো হলো- প্লাম্বার, ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিশিয়ান, অটোমোবাইল ও এসি মেকানিক। অন্যান্য অদক্ষ কর্মীর পাশাপাশি প্রতিবছর ৫০০০ দক্ষ কর্মী নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

ADVERTISEMENT

আরও পড়ুন:

ঢাকার সৌদি দূতাবাস জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)-র সাথে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচিতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সৌদির রাষ্ট্রদূত আরো জানান, অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়াল। তবে এ সকল কাজের দক্ষ শ্রমিকদের বেতন হবে ১৫০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল পর্যন্ত। তবে এ সকল কাজে নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে পরীক্ষা নেওয়া ও দক্ষতা যাচাই করে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। এই খাদগুলো তে চাকরি পেতে দক্ষতার সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক।

ADVERTISEMENT

এছাড়াও সৌদি আরবের শ্রমিক ভিসায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন কাজ- ড্রাইভিং, সেলসম্যান, ক্লিনার, ফ্যাক্টরি শ্রমিক, কনস্ট্রাকশন, ডেলিভারি ম্যান ও গৃহকর্মী।

বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য সৌদি আরবে বর্তমানে কাজের সংকটের কথা আমরা সকলেই জানি। তবে এ সকল কাজে দক্ষ হলে সৌদি আরবে গেলে কাজ পাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি। সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে তার যোগ্যতা অনুযায়ী বিদেশে যেতে পারেন।

আরও পড়ুন:

ADVERTISEMENT

সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজ

সৌদি আরবের ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ানের চাহিদা বর্তমানে ব্যাপক। প্রতিটি কোম্পানি, ফ্যাক্টরি, কনস্ট্রাকশন কাজে ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ান বাধ্যতামূলকভাবে প্রয়োজন। বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ব্যক্তিগণ বিএমইটির দক্ষতা যাচাই কর্মসূচি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে সৌদি আরবের বর্তমান খাতে যেতে পারবেন। 

বর্তমানে সৌদি আরবের দক্ষ ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ানের বেতন ১৫০০-১৮০০ রিয়াল নির্ধারণ করা হয়েছে। 

ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ান হিসেবে সৌদি আরব যেতে-

  • স্টেইনলেস স্টিল, ইস্পাত কাঠামো, অ্যালুমিনিয়াম, সিও 2, প্লেট, 2 জি / 4 জি / 6 জি / আর্গন ওয়েল্ডার ইত্যাদি ওয়েল্ডিং কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
  • ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা।
  • বিএমইটির দক্ষতা যাচাতে কর্মসূচির সার্টিফিকেট।
  • নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠানের চাকরি পেতে বিএমইটির কার্যালয়ে অথবা এজেন্সির সাহায্যে প্রয়োজন।

একজন দক্ষ ও ওয়েল্ডার হতে ৬ মাস থেকে ১ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তবে আপনি চাইলে ওয়েল্ডিং সহ সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে বাংলাদেশ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

সৌদি আরবে অটোমোবাইল মেকানিক কাজ

অটোমোবাইল কাজে দক্ষ ব্যক্তির চাহিদা সৌদি আরবসহ পৃথিবীর সর্বত্রই। বর্তমানে সরকারি খাতে সৌদি যেতে পারবেন অটোমোবাইল টেকনিশিয়ানরা। সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে ধারণা না থাকায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্যারেজে হাজার হাজার টেকনিশিয়ান স্বল্প বেতনে কাজ করে যাচ্ছে। তাই যারা এ কাজে দক্ষ তারা বিএমইটির দক্ষতা যাচাই কর্মসূচি থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে সৌদি আরবে অধিক বেতনে কাজ করতে পারবে।

অটোমোবাইল টেকনিশিয়ান এর মাসিক বেতন ১৫০০-১৮০০ রিয়াল পর্যন্ত। তবে অনেকেই পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করে সৌদি আরবে ছোট গ্যারেজ প্রতিষ্ঠান করে ৩০০০-৫০০০ রিয়াল পর্যন্ত মাসিক উপার্জন করছে।

সৌদিতে অটোমোবাইল মেকানিক কাজ পেতে-

  • অটোমোবাইল টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা।
  • অটোমোবাইল সম্পর্কিত সকল যন্ত্রাংশের ধারণা থাকতে হবে।
  • বিএমইটির দক্ষতা যাচাই কর্মসূচির সার্টিফিকেট।
  • ন্যূনতম ও মাধ্যমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা।
  • নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে বিএমইটির কার্যালয় অথবা এজেন্সির সাহায্য।

বিভিন্ন গ্যারেজে ৬ মাস কাজ করে অথবা বাংলাদেশ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অটোমোবাইল মেকানিক কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:

সৌদি আরবে এসি মেকানিক কাজ

আপনি যদি একজন এসি টেকনিশিয়ান হয়ে থাকেন তাহলে বিএমইটির কার্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে সহজেই উচ্চ বেতনে এসি মেকানিক হিসেবে কাজ করতে পারবেন সৌদি আরবে। এসি মেকানিক ও গাড়ির এসি মেকানিকের মধ্যে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আপনার দক্ষতা অনুযায়ী বেছে নিন।

একজন এসি টেকনিশিয়ানের সৌদি আরবে বেতন হবে ১৫০০-১৮০০ রিয়াল পর্যন্ত। এছাড়াও ওভারটাইম ও প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতি নিয়ে বাইরে পার্ট টাইম কাজ করেও ইনকাম করতে পারবেন।

এসি মেকানিক হিসেবে সৌদি আরবে যেতে-

  • এসি টেকনিশিয়ান কাজের দক্ষতা।
  • এসির বিভিন্ন পার্স সম্পর্কে ধারণা।
  • বিভিন্ন ধরনের এসির গঠন ও কার্যপ্রণালী সম্পর্কে ধারনা।
  • এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সম্পর্কে ধারণা।
  • বিএমইটির দক্ষতা যাচাই কর্মসূচির সার্টিফিকেট, প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকেও এসি মেকানিকের প্রশিক্ষন নিতে পারবেন।

সৌদি আরবে ইলেকট্রিশিয়ান কাজ

ইলেকট্রনিক কাজ একটি দক্ষতাভিত্তিক কাজ। সৌদি আরবসহ বিশ্বের সকল দেশেই এই কাজের চাহিদা অনেক। যারা বাংলাদেশ একজন ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে দৈনন্দিন কাজ করে থাকেন তাদের জন্য সৌদি আরবে রয়েছে ভালো উপার্জনের সুযোগ। বিশেষ করে কোন কোম্পানির আওতায় ইলেকট্রিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া হয়।

একজন ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতন ১৫০০-১৮০০ রিয়াল। দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে থাকলে বেতন ২২০০-২৩০০ রিয়াল পর্যন্ত হয়ে থাকে অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। ওভারটাইম করে বাড়িতে ইনকামেরও সুযোগ রয়েছে। সৌদি আরব ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে যেতে প্রয়োজন হবে-

  • ইলেকট্রনিক কাজের দক্ষতা।
  • বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন
  • বিএমইটির দক্ষতা যাচাই কর্মসূচি অনুযায়ী প্রদানকৃত সার্টিফিকেট।
  • মাধ্যমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা।
  • নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে বিএমইটি কার্যালয় অথবা কোন এজেন্সি।

ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কোন দক্ষতা না থাকলে বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর অথবা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ৩-৬ মাসের কোর্স করে সৌদি আরব যেতে পারেন। এছাড়াও সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

সৌদি আরবে প্লাম্বার ভিসা

প্লাম্বিং ও একটি দক্ষতাভিত্তিক কাজ। এ সকল কাজে দক্ষ ব্যক্তি কোম্পানির জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই এই কাজের চাহিদাও অনেক বেশি। আপনি যদি বাংলাদেশে একজন প্লাম্বার হিসেবে কাজ করে থাকেন তাহলে সৌদি আরবে বেশি উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।

সৌদি আরবের কোম্পানিতে একজন প্লাম্বারের মাসিক বেতন ১৪০০-১৮০০ রিয়াল। এছাড়া ওভারটাইম ও কখনো কখনো কোম্পানির বাইরে পার্টটাইম কাজেরও সুযোগ পাবেন। সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি- এ সমীক্ষায় দেখা যায় প্লাম্বাডিং কাজের চাহিদা ব্যাপক।  

প্লাম্বার হিসেবে সৌদি আরব যেতে যা প্রয়োজন হবে-

  • প্লাম্বিং কাজের দক্ষতা।
  • অন্য কোথাও কাজের অভিজ্ঞতা।
  • বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন।
  • দক্ষতা যাচাই কর্মসূচির পরীক্ষার সার্টিফিকেট।
  • নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে বিএমইটির কার্যালয় অথবা এজেন্সির সাহায্য প্রয়োজন।

ইলেকট্রিশিয়ান এর মতো প্লাম্বিং কাজের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কোর্স করেও দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসা 

সৌদি আরবের ড্রাইভিং কাজের চাহিদা সবসময়ই বেশি ছিল। বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিবহন ড্রাইভার অথবা হোম ড্রাইভার হিসেবে সৌদি আরবের ড্রাইভিং কাজ করা যায়।

সৌদি আরবে ড্রাইভার এর বেতন কত?

সৌদি আরবে একজন কোম্পানির ড্রাইভার প্রাথমিকভাবে ১২০০-১৪০০ রিয়াল বেতন পায়। তবে ১-২ বছর কাজ করলেই সে বেতন ২০০০-২২০০ রিয়াল পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। আমাদের চারপাশে এমন অনেক সৌদি প্রবাসী ড্রাইভিং করে ভালো ইনকাম করছে। 

এছাড়াও ড্রাইভিং জানা থাকলে পরবর্তীতে নিজে অল্প মূল্যে একটি গাড়ি নিয়ে ভাড়ায় চালালে বাংলাদেশি ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন প্রতিমাসে।

সৌদি আরবের ড্রাইভিং কাজ পেতে প্রয়োজন হবে:

  • ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের সনদপত্র।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন
  • পূর্বে ড্রাইভিং পদের কাজের অভিজ্ঞতা।
  • ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা।

তাছাড়া বিভিন্ন ছোট ছোট কোম্পানি ড্রাইভিং কাজের নিয়োগ দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে লাইসেন্স ছাড়াও সরাসরি কাজে নিয়োগ দিতে পারবেন।

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা উপরোক্ত আলোচনায় জানতে পারলাম। এবার চাহিদা সম্পন্ন অন্যান্য কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নেই-

সৌদি আরবে কনস্ট্রাকশন কাজ

বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি কনস্ট্রাকশন কাজে সৌদি আরবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আপনি বাংলাদেশ একজন দক্ষ রাজমিস্ত্রি হলে, সৌদি আরবে কনস্ট্রাকশন কাজে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠানে লেবার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে অনেক বাংলাদেশীকে। 

কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন ১২০০-১৪০০ রিয়াল এবং দক্ষতাভেদে বেশিও হতে পারে। কোন দক্ষতা ছাড়াই লেবার হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে বিশ্বস্ত মাধ্যমে সৌদি আরবে কনস্ট্রাকশন কাজে যেতে পারেন। সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ প্রসঙ্গে কনস্ট্রাকশন কাজ সর্বদাই এগিয়ে।

সৌদি আরবে ফ্যাক্টরি শ্রমিক

এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে যেতে চাইলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফ্যাক্টরি শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াও শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবেন। অথবা ফ্যাক্টরির কোন বিশেষ কাজে দক্ষ হলে উচ্চ বেতনে চাকরি করতে পারবেন।

সাধারণত ফ্যাক্টরি কাজের বেতন ১০০-১৪০০ রিয়াল হয়ে থাকে। ফ্যাক্টরি শ্রমিকের কাজের মধ্যে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা পূর্বে জেনে ভিসা সংগ্রহ করুন।

সৌদি আরবে ক্লিনার কাজ

বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে, আবাসিক হোটেলে কিংবা বাসা বাড়িতে ক্লিনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কোন দক্ষতা ছাড়াই এই কাজটি চাহিদা থাকে সর্বদাই। 

ক্লিনার কাজে ডিউটি থাকে কম এবং মাসিক বেতন ৮০০-১২০০ রিয়াল হয়ে থাকে। ফ্রি ভিসায় সৌদি আরব গেলে একই সাথে কয়েকটি বাসা, দোকান কিংবা ছোট প্রতিষ্ঠানের ক্লিনার হয়ে মাসিক ২০০০-২২০০ রিয়েল পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।

সৌদি আরবে গৃহকর্মী কাজ

সৌদি আরবের গৃহকর্মীর চাহিদা অনেক বেশি। সৌদির নাগরিকেরা তাদের বাসার যাবতীয় কাজের জন্য দক্ষতা ছাড়াই মেইড বা গৃহকর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। 

একজন গৃহকর্মীর মাসিক বেতন ৮০০-১২০০ রিয়াল পর্যন্ত হয়। তবে ফ্রি ভিসায় গেলে একই সাথে দুই থেকে তিনটি বাসার যাবতীয় কাজ করে বাড়তি উপার্জন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই মালিকের অনুমতি নিতে হবে।

সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি

বর্তমানে সৌদি আরবে অটোমোবাইল, ইলেকট্রিক, প্লাম্বিং, কন্সট্রাকশন, এবং টেকনিশিয়ান কাজের বেতন বেশি। যেহেতু সৌদি আরবে এসব কাজের চাহিদা বেশি, তাই এসব কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে।

সৌদি আরবে উচ্চদক্ষতার কাজের চাহিদা

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন অফিসিয়াল দক্ষতাভিত্তিক কাজে। যেমন-সি লেভেল নির্বাহী, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা অ্যানালাইসিস, মার্কেট রিসার্চ, নার্সিং, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার ও ইঞ্জিনিয়ারিং, নার্সিং।

এ সকল কাজের বেতন থাকে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। তবে চাকরি পেতে প্রয়োজন হয় উচ্চতর ডিগ্রি ও দক্ষতার।

এ ধরণের উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সৌদি আরব নাগরিকত্বও দিয়ে থাকে। জানুন সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

সৌদি আরবে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা

বর্তমানে সৌদি আরবে বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য কাজের অভাব লক্ষণীয়। তাই দক্ষতা ছাড়া সৌদি আরবে যেতে চাইলে তা হতে পারে আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। সৌদি আরবে যেতে নিম্নোক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন-

  • সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানা।
  • বিদেশ যাওয়ার পূর্বে নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা অর্জন।
  • নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা।
  • কোন এজেন্সি বা দালালের শরণাপন্ন হলে লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্তকতা।
  • আশেপাশের বিশ্বস্ত সৌদি প্রবাসীদের সাথে আলোচনা।
  • দক্ষতা অনুযায়ী বাংলাদেশে কাজের সুযোগ থাকলে বিদেশে না যাওয়াই ভালো।

FAQ’s

সৌদি বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে জানা যায় বর্তমানে- ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, এসি টেকনিশিয়ান, অটোমোবাইল মেকানিক ও ওয়েল্ডিং কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং, ফ্যাক্টরি শ্রমিক, ক্লিনার ও গৃহকর্মীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

সৌদি আরবে অদক্ষ শ্রমিকদের মাসিক বেতন ৮০০-১২০০ রিয়াল এবং দক্ষ শ্রমিকদের বেতন ১৫০০-১৮০০ রিয়াল। কোন কোন ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতায় ২০০০-২৫০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়।

সৌদি আরবে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজের ভিসায় সৌদি আরব যেতে পারেন। তবে অদক্ষ হলে ফ্রি ভিসায় না গিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি ভিসা ভালো।

শেষ কথা

সৌদি আরবে কোন কাজে চাহিদা বেশি তা জেনে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী সতর্কতার সাথে ভিসা প্রসেসিং করে সৌদি আরব যেতে পারে। আরও পড়তে পারেন – বাংলাদেশের জন্য কোন কোন দেশের ভিসা খোলা আছে

আজকের আলোচনার বিষয় ছিলো- সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি। লেখা সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। সকল প্রকার ই-সেবা ও প্রবাসী সেবার তথ্য পেতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট, ধন্যবাদ।

ADVERTISEMENT

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।