আমি প্রবাসী রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম | বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন
দালাল ছাড়াই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার আবেদন করতে পারবেন Ami Probashi App থেকে। দেখুন আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ও বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া।
ADVERTISEMENT
কোন ধরনের দালালের সহযোগিতা ছাড়াই এখন থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন আমি প্রবাসী অ্যাপ এর মাধ্যমে। আমি প্রবাসী অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে বিস্তারিত এই ব্লগে আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রবাসীদের সুবিধার্থে আমি প্রবাসী অ্যাপস ডেভেলপ করা হয়। এই অ্যাপসে একাউন্টে রেজিস্টার করে বিদেশে চাকরির জন্য সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
ADVERTISEMENT
এখন সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় দালাল চক্রের কোন হস্তক্ষেপ নেই। আসুন দেখি নিজেই কিভাবে বিদেশ যাওয়ার আবেদন করবেন।
আমি প্রবাসী রেজিষ্ট্রেশন (Ami Probashi Registration)
আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইলে Ami Probashi অ্যাপ ইন্সটল করুন। মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন ও Password Set করার পর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। তারপর যোগ্যতা ও পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে BMET রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করুন। ৭২ ঘন্টা পর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন শেষে ফি পেমেন্ট করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
ADVERTISEMENT
আমি প্রবাসী অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পর আপনাকে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর আপনারা Ami Probashi অ্যাপ থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন- সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
এছাড়াও এই অ্যাপসে Covid-19 টিকা রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু আছে। আমি প্রবাসী অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হলো:
ADVERTISEMENT
১. আমি প্রবাসী অ্যাপ ডাউনলোড করুন
গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে Ami Probashi লিখে সার্চ করলে সর্বপ্রথম এই অ্যাপ্লিকেশনটি চলে আসবে। অথবা আমি প্রবাসী অ্যাপসটি ডাউনলোড করার জন্য Ami Probashi এখানে ক্লিক করুন। অ্যাপসটি ডাউনলোড সম্পন্ন হলে আপনার ফোনে ইন্সটল করুন।
২. মোবাইল ভেরিফিকেশন ও পাসওয়ার্ড সেট করুন
আমি প্রবাসী অ্যাপসে প্রবেশ করার পরে প্রথমে আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে। একটি সচল মোবাইল নাম্বার বসিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। উক্ত মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে একটি ওটিপি কোড পাঠানো হবে। যথাক্রমে কোডটি বসিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন। এরপরে একটি পাসওয়ার্ড বসিয়ে (মিনিমাম ৬ ক্যারেক্টার) “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
৩. দক্ষতা ও ব্যক্তিগত তথ্য দিন
পরবর্তীতে এখান থেকে আপনাকে মিনিমাম তিনটি দেশ নির্বাচন করতে হবে। আপনি কোন কোন দেশে চাকরি করতে ইচ্ছুক এমন কয়েকটি দেশ সিলেক্ট করুন। আপনাদের সুবিধার্থে চাইলে সবগুলো দেশ সিলেক্ট করতে পারেন। দেশ সিলেক্ট সম্পূর্ণ হলে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
ADVERTISEMENT
আপনার দক্ষতা পেজ থেকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন কোন কাজের উপরে অভিজ্ঞ আছেন। তথা আপনি বিদেশে গিয়ে কোন কাজগুলো করা যাচ্ছেন। আপনার দক্ষতা সিলেক্ট করে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন- সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
পরবর্তীতে আবেদনকারীর কিছু অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন,
- লিঙ্গ ও বয়স;
- শিক্ষাগত যোগ্যতা;
- বর্তমানে বিদেশে কর্মরত আছেন কিনা;
- বিএমইটি স্মার্ট কার্ড আছে কিনা।
সকল ইনফরমেশন যথাযথভাবে প্রদান করে “সম্পন্ন” বাটনে ক্লিক করুন।
এরপরে আপনাদের সামনে POP-UP আকারে একটি নোটিফিকেশন শো করবে “ঠিক আছে” বাটনে ক্লিক করে দিন।
যদি আপনারা পূর্বের ধাপ থেকে বিএমইটি আইডি কার্ড আছে সিলেক্ট করেন তাহলে পুনরায় বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার দরকার নেই। যদি আপনাদের বিএমইটি আইডি কার্ড না থাকে তাহলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আমি প্রবাসী অ্যাপ এ প্রবেশ করার পরে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে আপনি কোন দেশে যেতে ইচ্ছুক এটা সিলেক্ট করে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রথমে পাসপোর্ট স্কান করতে হবে। পাসপোর্ট স্ক্যান করার জন্য পাসপোর্ট স্ক্যান করুন বাটনে ক্লিক করুন।
বিঃদ্রঃ Ami Probashi BMET Registration প্রক্রিয়ায় সকল তথ্য পাসপোর্ট অনুসারে প্রদান করতে হবে।
১. পাসপোর্ট এর তথ্য দিন
এরপরে সরাসরি ক্যামেরার মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট এর ছবি স্ক্যান করতে পারেন অথবা গ্যালারি থেকে আপলোড করতে পারবেন। পাসপোর্ট এর ছবি আপলোড সম্পূর্ণ হলে অটোমেটিক ভাবে পাসপোর্ট নাম্বার বসে যাবে। এবং বাকি তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে।
- আপনার নাম;
- পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ;
- পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ;
- জাতীয় পরিচয় পত্র (ঐচ্ছিক)
- জন্মস্থান;
- জন্ম তারিখ;
- আপনি পুরুষ না মহিলা সিলেক্ট করুন।
এরপরে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন। যথাক্রমে এর পরের পেইজে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে।
২. ব্যক্তিগত তথ্য দিন
এখান থেকে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যপ্রধান করতে হবে।
- পিতার নাম।
- মাতার নাম।
- বৈবাহিক অবস্থা। (বিবাহিত হলে স্ত্রীর নাম উল্লেখ করতে হবে)
- ধর্ম।
- উচ্চতা।
- ওজন কত কেজি।
যথাক্রমে তথ্যগুলো প্রদান করে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
৩. যোগাযোগের তথ্য দিন
এই ধাপ থেকে আপনাকে যোগাযোগের সকল তথ্য প্রদান করতে হবে। তথ্যগুলো অবশ্যই পাসপোর্ট অনুসারে হতে হবে।
- মোবাইল নাম্বার।
- ইমেইল এড্রেস।
- স্থায়ী ঠিকানা।
এরপরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
৪. নমিনির তথ্য দিন
- নমিনির সাথে আপনার সম্পর্ক।
- নমিনির নাম।
- নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র (ঐচ্ছিক)
- নমিনির মোবাইল নাম্বার।
- নমিনির পিতার নাম।
- নমিনির মাতার নাম।
এই তথ্যগুলো যথাযথভাবে প্রদান করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
৫. জরুরী যোগাযোগ তথ্য ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দিন
জরুরী যোগাযোগের তথ্য প্রদান –
- সম্পর্ক সিলেক্ট করুন।
- নাম প্রদান করুন।
- সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করুন।
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দিতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা।
- পাশের সাল।
- প্রতিষ্ঠান বা স্কুল।
- বোর্ড।
- গ্রেড/ডিভিশন
সিলেক্ট করে জমা দিন বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে যদি আপনারা আরও শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য প্রদান করতে চান তাহলে “+আরো যোগ করুন” বাটনে ক্লিক করে একইভাবে তথ্য প্রদান করে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ বসিয়ে দিন। এই তথ্যগুলো যথাযথভাবে প্রদান করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
৬. আবেদন ফরম সাবমিট করুন
এই ধাপ থেকে আপনাকে ভাষাগত যোগ্যতা সিলেক্ট করতে হবে। আপনি কোন ভাষায় পারদর্শী এবং মৌখিক দক্ষতা ও লিখিত দক্ষতা সিলেক্ট করুন। অনেকগুলো ভাষায় পারদর্শী হলে “+আরো যোগ করুন” বাটনে ক্লিক করে যথাক্রমে ভাষাগুলো সিলেক্ট করে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
এরপরে তথ্য যাচাই নামে একটি নোটিফিকেশন আসবে এখান থেকে আপনারা চাইলে রিভিউ করে তথ্য যাচাই করতে পারবেন অথবা সরাসরি পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হলে আপনার পাসপোর্ট যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হবে এটি সম্পূর্ণ হতে ৭২ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। এই তথ্যের সাথে একমত থাকলে “ঠিক আছে” বাটনে ক্লিক করুন।
এখন আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস পেন্ডিং আছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হবে। উক্ত সময়ের পরে আমরা আবেদন ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
৭. আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন ফি পেমেন্ট করুন
পুনরায় ৭২ ঘন্টা পরে আমি প্রবাসী অ্যাপে প্রবেশ করুন। আপনার বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। পরবর্তী ধাপে প্রবেশের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াধীন অপশনে ক্লিক করুন।
এখান থেকে যদি আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস ভেরিফাইড দেখায় তাহলে নিচে পেমেন্ট করুন একটা বাটন থাকবে। আবেদন ফি পরিশোধের জন্য “পেমেন্ট করুন” বাটনে ক্লিক করুন। মাত্র ৩০০ টাকা প্রদান করে আপনার রেজিস্ট্রেশনটি সম্পন্ন করতে পারবেন। অনলাইনে সাধারণত দুইটি পদ্ধতিতে টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন।
- বিকাশ
- নগদ
যেকোনো একটি পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করে যথাক্রমে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন।
অভিনন্দন সফলভাবে আপনার বি এম ই টি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। এখান থেকে “ঠিক আছে” বাটনে ক্লিক করুন। পরবর্তীতে আপনাদের সামনে সদ্য রেজিস্ট্রেশনকৃত বিএমইটি কার্ডের অনলাইন কপি চলে আসবে এবং আপনাদের বিএমইটি কার্ডের নাম্বার শো করবে।
উপরের ডান কর্নারে থাকা ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
FAQs
পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত বিভিন্ন আপডেট তথ্যের জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন Eservicesbd.com । তাছাড়া প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে সকলে পোস্টের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ ফলো করুন- Eservicesbd।
ADVERTISEMENT