মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত?

মেসিডোনিয়ায় কাজের বেতন কত তা নির্ভর করে কাজের খাত, পদবী এবং দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার উপর। এখানে কাজের বেতন বাংলাদেশি টাকা নুন্যতম ৫১০০০ টাকা।

মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত
  • Save

ADVERTISEMENT

মেসিডোনিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে North Macedonia (মেসিডোনিয়া)। মেসিডোনিয়ায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ৪০০ ইউরো ধরা হয়েছে।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, মেসিডোনিয়ার রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাতে আইটি, মেডিকেল, কৃষি ও নির্মাণ এই ৪টি খাতে কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নর্থ মেসিডোনিয়ার রাষ্ট্রদূত।

মেসিডোনিয়ায় কাজ করে অনেক মানুষ ধনী হচ্ছে। মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত, মেসিডোনিয়ায় যেতে কত টাকা লাগে, মেসিডেনিয়ার কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন এ সকল বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে ব্লগটি সম্পূর্ণ মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

ADVERTISEMENT

আসুন প্রথমে জেনে নিই মেসিডোনিয়াতে কাজের বেতন কত।

আরও পড়তে পারেন:

মেসিডোনিয়া কাজের বেতন কত?

বাংলাদেশীদের জন্য মেসিডোনিয়ায় কাজের মাসিক বেতন নূন্যতম ৪০০ থেকে ১৯০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ ৫১ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে যে সকল মানুষ মেসিডনিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন তারা সেখানে, আইটি, মেডিকেল, কৃষি ও নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করবেন। এই ৪ টি খাতে কাজের গড় বেতন নিচে তালিকায় দেয়া হলো।

মেসিডোনিয়া কাজের বেতন

কাজের খাতমেসিডেনিয়ান দিনারইউরোটাকা
তথ্য প্রযুক্তি35,000-80,000570-1,30072,000-1,65,000
মেডিকেল25,000-51,000400-82851,000-1,05,000
কৃষি শ্রমিক25000-35,000400-50051,000-72,000
নির্মাণ শ্রমিক25000-40,000400-65051,000-82,000
মেসিডোনিয়া কাজের বেতন

মেসিডোনিয়ার একজন মানুষের বেতন কত হবে, তা নির্ভর করবে তার পেশার খাত, পদবী এবং অভিজ্ঞতার উপর।

ADVERTISEMENT

নর্থ মেসিডোনিয়া টাকার মান

নর্থ মেসিডোনিয়া টাকার মান 1 MKD = 2.07 BDT, 1 USD = 56.71। ২০২৪ সালের জুলাই মাস অনুসারে মেসিডোনিয়া ১ ইউরো বাংলাদেশের ১২৭ টাকা।

মেসিডোনিয়ার মুদ্রার নাম মেসিডোনিয়ান দিনার (MKD)। আপনি মেসিডোনিয়াতে কাজের বেতন মেসিডোনিয়ান দিনারে পাবেন।

মেসিডোনিয়া কাজের ভিসা

মেসিডোনিয়াতে কাজের ভিসায় সরকারিভাবে কোন পদ্ধতিতে কর্মী নেওয়া হবে, তা এখনো পুরোপুরি নির্ধারণ হয়নি। তবে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা পেতে পারেন। মেসিডোনিয়ার ভিসা পাওয়ার জন্য অনেকগুলো কাগজপত্র প্রয়োজন এবং সে কাগজপত্রগুলো এম্বাসিতে জমা দিলে ভিসা পাওয়া যাবে।

ADVERTISEMENT

কিন্তু বাংলাদেশে মেসিডোনিয়ার কোন এম্বাসি অর্থাৎ দূতাবাস নেই। ভারতের দিল্লিতে এম্বাসি আছে। তাই সকল কাগজপত্র সেখানে জমা দিতে হয়।

ভিসার জন্য কাগজপত্র জমা দিতে আপনাকে ভারতে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ভালো এজেন্সি রয়েছে। যারা প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিবে।

তাছাড়া আপনার পক্ষ থেকে ভিসার আবেদনটি ভারতে অবস্থিত মেসিডোনিয়ার এম্বাসিতে পাঠিয়ে দিয়ে দিবে।

আরও পড়তে পারেন:

মেসিডোনিয়ার কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

মেসিডোনিয়ায় কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলো:

  • পাসপোর্ট;
  • ভিসা আবেদন ফর্ম
  • পাসপোর্ট আকারের ছবি
  • কভার লেটার
  • আমন্ত্রণপত্র
  • ভ্রমণ বীমা
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট

১. বৈধ পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। যেটির মেয়াদ অন্তত ছয় মাস থাকবে।

২. ভিসা আবেদন ফর্ম: অনলাইনে মেসিডোনিয়ান কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন পত্রের ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করে স্বাক্ষর করতে হবে। ফর্মটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করে নিতে হবে। 

৩. পাসপোর্ট আকারের ছবি: সাম্প্রতিক সময়ে তোলা দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (আকার: 35 মিমি x 45 মিমি) দিতে হবে। যেগুলোর সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকবে। ছবিটি যেন সাধারণ এবং রঙিন হতে হয় এবং এতে যেন অবশ্যই মুখের ৮০% দৃশ্যমান হয়।

৪. কভার লেটার: আবেদনকারীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, বাসস্থান, খরচ এই তথ্যগুলো উল্লেখ করে একটি লেটার লিখতে হবে এবং ফোন নম্বর এবং ইমেইল আইডি সহ স্বাক্ষর করতে হবে।

৫. আমন্ত্রণপত্র: মেসিডোনিয়ায় থাকা আপনার কোন আত্মীয় বা মেসেডোনিয়ার কোনো কোম্পানি আপনাকে সেখানে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালে, সেই আমন্ত্রণ পত্রকে ভিসা তৈরির জন্য প্রমাণ হিসাবে দেখাতে হবে।

৬. ভ্রমণ বীমা: ভ্রমণের সময়কাল জুড়ে আপনাকে কভার করার জন্য একটি ভ্রমণ বীমা থাকতে হবে।

৭. ট্রেড লাইসেন্স: ভিসা তৈরির জন্য এই কাগজ অপরিহার্য নয়। তবে আপনার যদি কোন ট্রেড লাইসেন্স থাকে তাহলে সেটা ভিসার অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে রাখতে পারেন।

৮. সার্টিফিকেট: শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হতে পারে।

৯. ব্যাংক স্টেটমেন্ট: সাম্প্রতিক ব্যাংক স্টেটমেন্ট যা আপনার আর্থিক অবস্থার প্রমাণ হবে।

মেসিডোনিয়ার ভিসা নিয়ে সতর্কতা

বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভিসা। সঠিক এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রস্তুত না করতে পারলে অনেক সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া এজেন্সি বা  দালালের মাধ্যমে টাকা, পাসপোর্ট সবকিছু হারাতে হয়।

যেহেতু মেসিডোনিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ সম্পুর্ণ নতুন হতে যাচ্ছে। তাই জেনে শুনে North Macedonia Work Permit আবেদন প্রক্রিয়া কিভাবে চালু হয়, জেনে সঠিক নিয়মে সরকারিভাবে আবেদন করাই উচিত।

অথবা, পরিচিত ও কোন স্বনামধন্য এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রস্তুত করার চেষ্টা করবেন।

আরও পড়তে পারেন- সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

মেসিডোনিয়ায় কাজ করার অসুবিধা

  • মুদ্রা: কাজের বেতন মেসিডোনিয়ান দিনার এ দেওয়া হয়। মুদ্রাকে আবার ইউরোতে রূপান্তরিত করার ঝামেলা পোহাতে হয়।
  • দূতাবাস:মেসিডোনিয়ায় বাংলাদেশের কোন দূতাবাস নেই। ফলে আপনি কোন সমস্যায় পড়লে বাংলাদেশের দূতাবাস আপনাকে সহজে সাহায্য করতে পারবে না ।
  • ভাষা: ম্যাসেডোনীয় ভাষা  ভালোভাবে বলতে না পারলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। 
  • সেনজেন ভিসা প্রযোজ্য নয়: মেসিডোনিয়া ইউরোপের একটি দেশ হলেও এখানে সেনজেন ভিসা প্রচলিত নয়। অর্থাৎ আপনি একটি ভিসার মাধ্যমে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে অবাধে যাতায়াত করতে পারবেন না।  

মেসিডোনিয়া সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্ন

মেসিডোনিয়ায় যেতে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা লাগে। ২০২৪ সাল অনুসারে মেসিডোনিয়ায় যেতে ৭ লক্ষ টাকা বেশি টাকা লাগে না।

মেসিডোনিয়ার ভিসা পেতে ১৫ থেকে ১৭ দিন সময় লাগে।

১ মেসিডোনিয়ান দিনার সমান ২.৬ টাকা (জুলাই ২০২৪ অনুসারে )। মেসিডোনিয়ার মুদ্রার নাম মেসিডোনিয়ান দিনার।

মেসিডোনিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের সমান ২.৬ টাকা।

আশা করি, এই ব্লগের মাধ্যমে মেসিডোনিয়ায় কাজের বেতন ও মেসিডোনিয়ার কাজের ভিসা  সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন।

তথ্যসূত্র:

ADVERTISEMENT

Similar Posts

মন্তব্য করুন