দুবাই গোল্ডেন ভিসা কি, কাদের জন্য এবং কি কি লাগবে

দুবাই গোল্ডেন ভিসা কি এবং এটি কাদের জন্য। কি কি যোগ্যতা ও কাগজপত্র লাগবে, আবেদন প্রক্রিয়া ও কত টাকা লাগবে বিস্তারিত তথ্য জানুন এই ব্লগে।

দুবাই গোল্ডেন ভিসা কি
  • Save

ADVERTISEMENT

দুবাই গোল্ডেন ভিসা নিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এই ভিসা শুধু দুবাইতে বসবাসের সুযোগই দেয় না, বরং এর মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি নাগরিক সুবিধা। কিন্তু এই ভিসা কী, কারা পেতে পারেন, এর সুবিধা কী, আবেদন প্রক্রিয়া কেমন—এসব প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা। আজকের ব্লগে আমরা দুবাই গোল্ডেন ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো, যাতে আপনি সহজেই সব তথ্য পেয়ে যান।

এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা

দুবাই গোল্ডেন ভিসা কি?

দুবাই গোল্ডেন ভিসা হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) সরকারের একটি বিশেষ ভিসা প্রোগ্রাম, যা বিদেশী নাগরিকদের দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুযোগ দেয়। এই ভিসার মেয়াদ ১০ বছর পর্যন্ত, এবং এটি নবায়নযোগ্য। গোল্ডেন ভিসা ধারকরা UAE-তে বসবাস, কাজ করা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠা এবং সম্পত্তি কেনার মতো সুবিধা পারেন।

ADVERTISEMENT

এই ভিসা শুধু ধনী ব্যক্তিদের জন্যই না, বরং বিভিন্ন পেশার মানুষ যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক, উদ্যোক্তা, মেধাবী ছাত্র, এবং বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিরাও দুবাই গোল্ডেন ভিসা পারেন।

আপডেট: জানুয়ারী ২০২৫ থেকে দুবাই Creators HQ ১০ হাজার কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং Influencer কে Dubai Golden Visa দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

দুবাই গোল্ডেন ভিসা কাদের জন্য?

দুবাই গোল্ডেন ভিসা মূলত নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য:

ADVERTISEMENT

  1. বিনিয়োগকারী: UAE-তে ২ মিলিয়ন দিরহাম (প্রায় ৬.৬০ কোটি টাকা) বা তার বেশি বিনিয়োগ করলে।
  2. উদ্যোক্তা: ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাদের বার্ষিক আয় ১ মিলিয়ন AED (প্রায় ৩.৩০ কোটি টাকা) বা তার বেশি।
  3. বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন পেশাজীবী: যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক, বৈজ্ঞানিক, ডক্টরেট ডিগ্রি হোল্ডার, Content Creator, Influencer, ও শিল্পী।
  4. কনটেন্ট ক্রিয়েটর: ক্রিয়েটিভ প্রফেশনাল যেমন ব্লগার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার।
  5. মেধাবী ছাত্র: স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অসাধারণ মেধা সম্পন্ন ছাত্র।
  6. নির্বাহী পরিচালক (Executive Directors): কোন কোম্পানীর নির্বাহী পর্যায়ের অফিসার।
  7. অভিজাত সম্পত্তির মালিক: UAE-তে ২ মিলিয়ন AED মূল্যের সম্পত্তির মালিক হলে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য গোল্ডেন ভিসা (১০ বছর)

পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বিনিয়োগকারী

আপনি যদি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোন Investment Fund-এ বিনিয়োগ করেন, তাহলে ১০ বছরের জন্য স্পন্সর ছাড়াই গোল্ডেন ভিসা (নবায়নযোগ্য) পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে:

  • UAE-তে স্বীকৃত বিনিয়োগ তহবিলের (Investment Fund) একটি চিঠি জমা দিতে হবে, যেখানে উল্লেখ থাকবে যে আপনার জমা AED ২ মিলিয়ন বা তার বেশি।
  • অথবা, বৈধ কমার্শিয়াল বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্স এবং মেমোরেন্ডাম অফ অ্যাসোসিয়েশন (MOA) জমা দিতে হবে, যেখানে উল্লেখ থাকবে যে আপনার বিনিয়োগ মূলধন AED ২ মিলিয়নের কম নয়।
  • Federal Tax Authority (FTA) থেকে একটি চিঠি জমা দিতে হবে, যেখানে উল্লেখ থাকবে আপনি প্রতি বছর অন্তত AED ২৫০,০০০ (দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার দিরহাম) কর পরিশোধ করেন
  • আপনার বিনিয়োগকৃত মূলধন সম্পূর্ণ আপনার নিজের হতে হবে, এটি কোনো ঋণ থেকে নেওয়া যাবে না।

রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী

আপনি যদি দুবাইতে কোন সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে ৫ বছরের জন্য গোল্ডেন ভিসা (নবায়নযোগ্য) পেতে পারেন।

  • যে আমিরাতে আপনার সম্পত্তি আছে, সেই ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট থেকে একটি প্রত্যয়ন সংগ্রহ করতে হবে, যেখানে উল্লেখ থাকবে যে আপনার মালিকানাধীন সম্পত্তির মূল্য ২ মিলিয়ন দিরহামের কম নয়।
  • UAE-র নির্দিষ্ট অনুমোদিত ব্যাংকের ঋণ সুবিধা নিয়ে সম্পত্তি কিনলে তবেই এই সুযোগ পাবেন।

উদ্যোক্তাদের জন্য গোল্ডেন ভিসা (৫ বছর)

আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হন, তাহলে দুবাইতে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ৫ বছরের জন্য নবায়নযোগ্য গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আপনার ব্যবসা প্রযুক্তি (Tech) বা ভবিষ্যৎমুখী প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে উদ্ভাবনমূলক হতে হবে এবং নিন্মোক্ত শর্ত পালন করতে হবে।

ADVERTISEMENT

  • UAE-র একজন অডিটর থেকে প্রত্যয়ন, যেখানে উল্লেখ থাকবে যে আপনার প্রকল্পের মূল্য AED ৫০০,০০০ বা তার বেশি।
  • আমিরাতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে চিঠি, যেখানে বলা থাকবে যে আপনার প্রকল্প ভবিষ্যৎমুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর।
  • UAE-র স্বীকৃত একটি বিজনেস ইনকিউবেটর থেকে অনুমোদন পত্র, যা নিশ্চিত করবে যে আপনি দেশটিতে আপনার ব্যবসা চালু করতে যাচ্ছেন।

পেশাজীবী ও বিশেষজ্ঞদের জন্য গোল্ডেন ভিসা (১০ বছর)

দুবাই গোল্ডেন ভিসা শুধুমাত্র বিনিয়োগকারী বা উদ্যোক্তাদের জন্যই নয়, বরং বিশেষজ্ঞ পেশাজীবী ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্যও প্রযোজ্য।

  • বিজ্ঞানী ও গবেষক
  • খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ও ধর্মীয় নেতা
  • শিল্প ও শিল্প বিপ্লব বিশেষজ্ঞরা
  • স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ:
  • শিক্ষা বিশেষজ্ঞ:
  • প্রেসিডেন্ট ও সিইও (CEO)
  • স্বনামধন্য সংস্থার সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (CEO)
  • বিজ্ঞানী
  • প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ
  • ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ
  • তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ
  • আইন, সমাজ ও সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ

কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ক্রিয়েটিভ প্রফেশনাল (১০ বছর)

আপনি Content Creator, Blogger, Digital Story Teller, Filmmaker, Social Media Influencer অথবা Creative প্রফেশনাল হয়ে থাকলে, আপনি ও এই ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

গ্লোবাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং এই ধরণের প্রতিভাবান ব্যক্তি, যারা সৃজনশীল জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন, তাদের প্রাইম ডেসটিনেশন হিসেবে UAE কে গঠন করার জন্য CreatorsHQ কাজ করছে।

ADVERTISEMENT

আপনি ও আবেদন করতে পারেন যদি মনে করেন আপনার নিচের যোগ্যতাসমূহ আছে:

  • সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিতি: আপনার তৈরি কনটেন্ট বা সৃজনশীল কাজ যদি ইতিমধ্যেই দর্শকদের মাঝে প্রভাব ফেলতে পারে।
  • পুরস্কার বা স্বীকৃতি পাওয়া: যদি আপনি কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পুরস্কার বা স্বীকৃতি পেয়ে থাকেন।
  • সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৃজনশীল কমিউনিটিতে মূল্য যোগ করার সম্ভাবনা: আপনার কাজ যদি আমিরাতের ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
  • নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি এবং সক্রিয় উপস্থিতি: যদি আপনার কনটেন্ট ক্রিয়েশন ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে এবং দর্শকদের মধ্যে ভালো সাড়া পাচ্ছে।

আপনি যদি মনে করেন যে আপনার কাজ এই যোগ্যতাগুলোর সাথে মিলে যায়, তাহলে দেরি না করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করুন এবং আপনার সৃজনশীল ক্যারিয়ারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন।

Golden Visa for Content Creators সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে ভিজিট করুন: Creators HQ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য গোল্ডেন ভিসা (৫ বছর)

আপনি যদি বিদেশি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী হন, তাহলে স্পন্সর ছাড়াই ১০ বছরের জন্য গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তবে শর্ত হলো:

  • বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় থাকতে হবে।
  • আপনার CGPA অন্তত ৩.৫ হতে হবে।
  • স্নাতক শেষ হওয়ার ২ বছরের বেশি হলে আবেদন করা যাবে না।
  • গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে।

দুবাই ভিসা সংক্রান্ত আরও তথ্যের লিংক:

গোল্ডেন ভিসার সুবিধা

দুবাই গোল্ডেন ভিসা ধারকরা নানাবিধ সুবিধা ভোগ করতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • দীর্ঘমেয়াদি ভিসা: ১০ বছর পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ।
  • পরিবারের সদস্যদের ভিসা: গোল্ডেন ভিসা ধারক তার স্ত্রী/স্বামী এবং সন্তানদেরও ভিসা দিতে পারেন।
  • কাজের অনুমতি: গোল্ডেন ভিসা ধারক UAE-তে কাজ করার অনুমতি পান, তবে আলাদা ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হতে পারে।
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠা: UAE-তে নিজের ব্যবসা শুরু করার সুযোগ।
  • স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুবিধা: UAE-এর উন্নত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ভোগ করা।
  • ট্যাক্স সুবিধা: UAE-তে আয়কর না থাকায় আর্থিক সুবিধা।

গোল্ডেন ভিসা করতে কি কি লাগে?

দুবাই গোল্ডেন ভিসার জন্য যেস প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে তা হলো:

  1. পাসপোর্ট: কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদবিশিষ্ট বৈধ পাসপোর্ট। দেখতে পারেন – দুবাই থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
  2. রঙ্গিন ছবি: সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের কালার ছবি।
  3. আয় প্রমাণ: বিনিয়োগকারী বা উদ্যোক্তাদের জন্য আয় বা বিনিয়োগের প্রমাণপত্র।
  4. ব্যবসার লাইসেন্স: উদ্যোক্তাদের জন্য তাদের নিবন্ধিত ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স।
  5. যোগ্যতার প্রমাণপত্র: বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন পেশাজীবী, চাকরিজীবি বা ছাত্র হলে শিক্ষাগত সার্টিফিকেট এবং UAE অথরিটি থেকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় Approval Letter।
  6. শিল্পীদের এওয়ার্ড বা স্বীকৃতি: আর্টিস্ট হলে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড, স্বীকৃতি বা পোর্টফোলিও।
  7. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: বাংলাদেশ পুলিশ থেকে সংগ্রহ করা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  8. মেডিকেল ফিটনেস টেস্ট রেজাল্ট: বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট।
  9. স্বাস্থ্য বীমা: UAE-তে Health Insurance Copy
  10. স্পন্সরশীপ ডকুমেন্ট: যদি নিজ পরিবারের কোন সদস্যের জন্য আবেদন করেন।

দুবাই গোল্ডেন ভিসা কত টাকা লাগে?

দুবাই গোল্ডেন ভিসার খরচ নির্ভর করে আবেদনকারীর প্রোফাইল এবং ভিসার ধরনের উপর। সাধারণত, আবেদন ফি, প্রক্রিয়াকরণ ফি, মেডিকেল টেস্ট এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মোট খরচ প্রায় ১৫,০০০ AED থেকে ২০,০০০ AED (প্রায় ৫ থেকে ৬ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে।

খরচের ধরনআনুমানিক খরচ (AED)
আবেদন ফি২,০০০
প্রক্রিয়াকরণ ফি৫,০০০
মেডিকেল টেস্ট১,৫০০
স্বাস্থ্য বীমা৫,০০০
অন্যান্য খরচ১,৫০০

কিভাবে দুবাই গোল্ডেন ভিসার আবেদন করবেন?

দুবাই গোল্ডেন ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া বেশ সহজ। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  1. যোগ্যতা যাচাই: প্রথমে আপনার Golden Visa পাওয়ার যোগ্যতা যাচাই করুন এই লিংক থেকে – Check UAE Golden Visa Eligibility। আপনি কোন ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন তা নির্ধারণ করুন।
  2. কাগজপত্র সংগ্রহ: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট, ফটোগ্রাফ, আয় প্রমাণ ইত্যাদি সংগ্রহ করুন।
  3. Entry Permit সংগ্রহ: Golden Visa পাওয়ার বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ৬ মাসের জন্য এন্ট্রি পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। অনলাইনেই Entry VISA Application করতে পারবেন।
  4. অনলাইনে আবেদন: দুবাইয়ের সরকারি ভিসা আবেদনের ওয়েবসাইট Golde Visa Application অথবা UAEICP App ব্যবহার করে আবেদন করতে পারেন। তাছাড়া, কোন অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করুন।
  5. ফি জমা দিন: আবেদন ফি এবং অন্যান্য খরচ অনলাইনে জমা দিন।
  6. মেডিকেল টেস্ট: UAE-তে মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করুন।
  7. ভিসা ইস্যু: সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আপনার গোল্ডেন ভিসা ইস্যু করা হবে।

গোল্ডেন ভিসা হলে কি ওয়ার্ক পারমিট লাগে?

গোল্ডেন ভিসা ধারকরা UAE-তে কাজ করার অনুমতি পান, তবে আলাদা ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হতে পারে। যদি আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চান, তাহলে নিয়োগকর্তার মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ফ্রিল্যান্স কাজের ক্ষেত্রে আলাদা ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন নাও হতে পারে।

FAQs

দুবাই গোল্ডেন ভিসা হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) সরকারের একটি বিশেষ ভিসা প্রোগ্রাম, যা বিশেষ ক্যাটাগরির বিদেশী নাগরিকদের ৫ থেকে ১০ বছরের দীর্ঘমেয়াদে বসবাসের সুযোগ দেয়। দুবাই গোল্ডেন ভিসা যোগ্যতা সাপেক্ষে পুনরায় নবায়নযোগ্য।

হ্যাঁ, গোল্ডেন ভিসা প্রাপ্ত ব্যক্তি যদি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন সেক্ষেত্রে আলাদা ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ফ্রিল্যান্স কাজের ক্ষেত্রে আলাদা ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হবে না।

না, গোল্ডেন ভিসা একটি দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের ভিসা, যা ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী এবং যোগ্যতা পূরণের ভিত্তিতে প্রতি পাঁচ বা দশ বছর পর পনুরায় নবায়ন করা যায়।

যদি প্রথমবার আবেদন অসম্পূর্ণ তথ্য বা প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাবে ফেরত দেওয়া হয়, তবে (৩০) দিনের মধ্যে আবেদনের বৈধতা শেষ হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কর্তৃক আবেদন বাতিল হলে কেবল ইস্যু ফি ফেরত দেওয়া হবে।

দুবাই গোল্ডেন ভিসার জন্য যারা আবেদন করতে পারবেন, তারা হলেন – ব্যবসা ও রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, ডাক্তার, বিজ্ঞানী, শিল্প ও সংস্কৃতিতে সৃজনশীল ব্যক্তিরা, উদ্ভাবক, নির্বাহী পরিচালক, ক্রীড়া পেশাজীবী, পিএইচডি ডিগ্রিধারী, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা, বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকরা, শিক্ষাক্ষেত্র ও প্রকৌশল ও বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা।

জি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরে থেকে গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগাড় করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার জন্য প্রাথমিকভাবে ৬ মাসের এন্ট্রি ভিসা নিতে হবে।

শেষ কথা

দুবাই গোল্ডেন ভিসা বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ। এটি শুধু বসবাসের সুযোগই দেয় না, বরং ব্যবসা, কাজ এবং পরিবারের ভবিষ্যত গড়ারও একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম। যদি আপনি এই ভিসার জন্য যোগ্য হন, তাহলে দেরি না করে আজই আবেদন করুন।

আরও বিস্তারিত জানতে দুবাইয়ের সরকারি ওয়েবসাইটে Dubai Golden Residency সম্পর্কে দেখতে পারেন।

এই ব্লগটি যদি আপনার উপকারে আসে, তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ!

ADVERTISEMENT

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।