অনলাইনে NID সংশোধন করার নিয়ম – সহজ প্রক্রিয়া

জানুন অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম এবং অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত।

nid সংশোধন করার নিয়ম
  • Save

ADVERTISEMENT

কিভাবে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড বা এনআইডি কার্ড সংশোধন (nid songsodhon) করবেন, বিভিন্ন ধরণের ভুলের জন্য কি কি প্রমানপত্র দেয়া লাগবে এবং কিভাবে আপনার Computer বা Mobile দিয়ে অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করবেন তা দেখাবো।

আমাদের প্রায় সবারই জাতীয় পরিচয়পত্রে বিভিন্ন ধরণের ভুল রয়েছে। কারো নামের ভুল, পিতা মাতার নামের ভুল, জন্মতারিখ, ঠিকানার ভুল ইত্যাদি।

কিন্তু অনেকেই জানেন না, অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের বিশেষ সুযোগ রয়েছে। ঘরে বসেই যথাযথ প্রমাণসহ অনলাইন আবেদন করে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারবেন। আসুন জানি আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম।

ADVERTISEMENT

এনআইডি কার্ড সংশোধন

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে প্রথমে ভিজিট করুন services.nidw.gov.bd সাইটে। এখানে NID নম্বর, জন্ম তারিখ ও ঠিকানা দিয়ে একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করুন। Log in করে প্রোফাইলের ভুল তথ্যসমূহ এডিট করুন। সংশোধন ফি জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রমানপত্র Upload করে আবেদন সাবমিট করুন।

আবেদন অনুমোদন হলেই এনআইডি কার্ড সংশোধন হবে এবং আপনাকে SMS এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। এরপরই অনলাইন থেকে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

ADVERTISEMENT

জাতীয় পরিচয়পত্রের যেসব তথ্য সংশোধন করা যাবে

এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে প্রধানত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি লাগে। এসব ডকুমেন্টের মধ্যে যে কোন ২ টি ডকুমেন্ট দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যাবে।

তবে, কোন ব্যাক্তির যদি এসব প্রধান ডকুমেন্ট ২টি না থাকে সেক্ষেত্রে বিয়ের কাবিন, অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন, ওয়ারিশ সনদ, ভাই-বোনের জাতীয় পরিচয় পত্র ও সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া যায়।

ভোটার আইডি সংশোধনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে তার বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্টে- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

ADVERTISEMENT

এনআইডি কার্ড সংশোধন ফি কত

সংশোধনের ধরণফি’র পরিমাণ
এনআইডির তথ্য সংশোধন – NID Info Correction২৩০ টাকা
অন্যান্য তথ্য সংশোধন – Other Info Correction ১১৫ টাকা
উভয় তথ্য সংশোধন – Both Info Correction৩৪৫ টাকা
রিইস্যু – Duplicate Regular৩৪৫ টাকা
রিইস্যু জরুরী – Duplicate Urgent ৫৭৫ টাকা
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে একাউন্ট রেজিষ্টার করুন। তারপর একাউন্টের প্রোফাইল Option থেকে তথ্য সংশোধন করুন। এবার এনআইডি ফি পরিশোধ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র Upload করে সংশোধন আবেদনটি জমা দিন।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের প্রক্রিয়াটি নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হলো।

ধাপ ১: ডকুমেন্টসগুলোর স্ক্যান/ ছবি নেয়া

NID সংশোধনের আবেদন করার পূর্বে আপনার সংশোধনের ধরন অনুযায়ী, প্রমাণপত্রগুলো Scan করে নিতে হবে। Computer ও Scanner থাকলে খুবই ভাল। না থাকলে মোবাইলে ভাল আলোতে, সোজাসুজি ভাবে ছবি তুলে নিন। ছবিটি সুন্দরভাবে ক্রপ করে নিন এবং প্রয়োজন হলে Brightness ও Contrast বাড়িয়ে নিন।

ADVERTISEMENT

ডকুমেন্টের Scanned Copy বা ছবিগুলো আপনার কম্পিউটারের কোন নির্দিষ্ট ফোল্ডার বা মোবাইলের গ্যালারিতে রাখুন।

ধাপ ২: NID ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন

এবার Computer থেকে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র উইং ওয়েবসাইটে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের একাউন্টে Registration করতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন করার পূর্বে অন্য একটি মোবাইল থেকে Google Play Store থেকে NID Wallet অ্যাপটি Install করে নিন। এটি Face Verification করতে কাজে লাগবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার দিয়ে এনআইডি সেবার ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র একাউন্ট এই লিংকে যান। নিচের মত একটি পেইজ আসবে।

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন
  • Save

এখানে প্রথম অপশন রেজিস্টার করুন লিংকে Click করুন। তারপর নিচের মত একটি পেইজ পাবেন।

nid সংশোধন করার নিয়ম
  • Save

এখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র / ভোটার আইডি কার্ড / স্মার্ট কার্ড নম্বর লিখুন। যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন, ভোটার আবেদনের ফরম নম্বরটি লিখুন। ফরম নম্বর দিয়েও ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।

আপনার জন্মতারিখ ও ছবিতে দেখানো Captcha Code টাইপ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) বাছাই করুন। নিচের ছবির মত।

nid সংশোধন করার নিয়ম
  • Save

উপরের সব তথ্য সঠিক থাকলে আপনার মোবাইল নম্বর দেখানো হবে। অথবা আপনি নতুন একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে আপনার Account Verification করতে হবে। অবশ্যই মোবাইল নম্বরটি সচল এবং আপনার হাতে থাকতে হবে। কারণ এই নম্বরের একটি Verification OTP পাঠানো হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
  • Save

এখানে আপনার মোবাইল নম্বরটি সঠিকভাবে লিখুন এবং বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন।

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন
  • Save

আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। কোডটি উপরের ছবিতে দেখানো ঘরে লিখুন এবং বহাল বাটনে ক্লিক করুন।

ফেইস ভেরিফিকেশন করুন

এবার আপনার Face Verification এর জন্য একটি QR কোড দেখানো হবে। NID Wallet অ্যাপ দিয়ে কোড টি স্ক্যান করে আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে।

এনআইডি কার্ড ফেইস ভেরিফিকেশন
  • Save
ফেস ভেরিফিকেশ QR কোড

এবার আপনার মোবাইলে ইনস্টল করা NID Wallet App টি ওপেন করুন। ভাষা সিলেক্ট করে Agree and Continue বাটনে ট্যাপ করুন। এরপর QR কোডটি স্ক্যান করুন।

NID Wallet Face Verification
  • Save

QR কোড স্ক্যান করার পর আপনার Face Verification করার অপশন আসবে। এখানে দেখানো হবে কিভাবে প্রথমে আপনার সোজাসুজি ছবি তুলবেন, তারপর চোখ ক্যামেরার দিকে রেখে মাথা একটু বামে ও ডানে ঘুরাবেন।

ফেইস স্ক্যান চালু করার জন্য Start Face Scan বাটনে ক্লিক করুন।

nid face verification process
  • Save
nid face verification process

এ্যাপ এ দেখানো ভিডিওর মত, আপনার মুখ বরাবর Selfie Camera ধরুন ও সোজাসুজি তাকান। ঠিক থাকলে ছবিতে OK বা টিক মার্ক দেখাবে।

তারপর, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আপনার মাথা ডানে একবার ও বামে একবার ঘোরাবেন। OK না দেখালে, আবার চেষ্টা করুন।

Face Verification সম্পন্ন হলে আপনার সামনে নিচের মত একটি পেইজ আসবে।

ভোটার আইডি কার্ড পাসওয়ার্ড সেট
  • Save

এবার আপনার Account Password সেট করুন। ভবিষ্যতে ফেইস ভেরিফিকেশনের ঝামেলা ছাড়া একাউন্টে Log in করতে হলে, আপনাকে সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।

Password না দিতে চাইলে এড়িয়ে যান বাটনে ক্লিক করে আপাতত কাজ সম্পন্ন করার যাবে। আমার পরামর্শ থাকবে পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য। ভবিষ্যতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা পুনরায় Download করার জন্য আপনার অনেক সুবিধা হবে।

ধাপ ৩: তথ্য সংশোধন

সফলভাবে Account Registration হলে, আপনি NID একাউন্টে লগ ইন করবেন। তখন, আপনার সামনে নিচের মত একটি পেইজ আসবে।

nid সংশোধন করার নিয়ম
  • Save
nid সংশোধন করার নিয়ম

এখানে প্রোফাইল অপশনে যান। প্রোফাইলে ৩ ধরণের তথ্য রয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা। ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করার জন্য, উপরের ডান পাশে নীল রংয়ের এডিট বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর নিচের মত পেইজ আসবে। এখানে আপনি তথ্যগুলো পুনরায় Type করে Edit করার অপশন পাবেন।

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন
  • Save
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন

আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান, তার বাম পাশের টিক অপশনে ক্লিক করুন। এভাবে আপনার ভুল তথ্যগুলো প্রমাণপত্রের সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে টাইপ করুন।

তারপর, পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এখানে আপনার সংশোধন করা তথ্যের পূর্বরুপ ও সংশোধিত রুপ দেখতে পাবেন। সব ঠিক থাকলে আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন

ধাপ ৪: এনআইডি কার্ড সংশোধন ফি প্রদান

এখন, আপনাকে আপনার ভুল তথ্যের ধরণ অনুযায়ী ফি প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার এতক্ষণ যা করেছেন তা Close করবেন না, সেই পেইজেই থাকুন। ফি প্রদান করেই আপনাকে আবার আবেদনের বাকি কাজ শেষ করতে হবে।

আপনি, রকেট, বিকাশ, ওকে ওয়ালেট থেকে খুব সহজেই NID Fee পরিশোধ করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম

তথ্য সংশোধনের জন্য প্রথমবার আবেদনের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা ফি এবং ১৫% ভ্যাট ৩০ টাকা, মোট ২৩০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।

যেহেতু বিকাশ অধিক ব্যবহৃত, হয়তো আপনার ও বিকাশ একাউন্ট রয়েছে। দেখুন কিভাবে বিকাশ হতে জাতীয় পরিচয়পত্র ফি পরিশোধ করবেন।

বিকাশের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID Fee) প্রদান

বিকাশের মাধ্যমে ফি দিতে বিকাশ এ্যাপ থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টে Log in করুন। এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

  1. পে বিল অপশনে যান
  2. সরকারি ফি অপশনে ক্লিক করুন এবং NID Service অপশনটি বাছাই করুন।
  3. আপনার আইডি নম্বরটি ইংরেজিতে লিখুন
  4. আপনার আবেদনের ধরণ বাছাই করুন।
  1. পে বিল অপশনে যান
  2. সরকারি ফি অপশনে ক্লিক করুন এবং NID Service অপশনটি বাছাই করুন।
  3. আপনার আইডি নম্বরটি ইংরেজিতে লিখুন
  4. আপনার আবেদনের ধরণ বাছাই করুন।
বিকাশে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি পরিশোধ
  • Save
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি
  • Save

এরপর আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে ফি পরিশোধ করুন। ফি পরিশোধ করা হলে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে আবার ফিরে জান এবং প্রমাণপত্রসমূহ আপলোড করে আবেদনটি সাবমিট করুন।

ধাপ ৫: প্রমাণপত্র / ডকুমেন্ট আপলোড ও আবেদন সাবমিট

আপনাকে ১ম ধাপেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো স্ক্যান বা ছবি তুলে একটি ফোল্ডারে রাখার জন্য বলেছিলাম। এখন প্রয়োজন মোতাবেক আপনার ডকুমেন্ট গুলো আপলোড করে আবেদন সাবমিট করতে পারবেন।

ধাপ ৬: জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড

আবেদন সাবমিট করার পর, ড্যাশবোর্ডে ফিরে আসুন। উপরের দিকে আবেদনটি Download করার একটি লিংক দেখতে পাবেন। লিংকে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।

ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র হচ্ছে এসএসসি (SSC Certificate) এবং ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের কপি। যদি কারো এসব প্রমাণপত্র না থাকে সেক্ষেত্রে, Passport, Driving License ইত্যাদি দেয়া যাবে।

আর সরকারি চাকরিজীবীদের জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য Educational Certificate, Birth Registration, Service Book, অথবা MPO Sheet কপি এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে। নির্বাচন কমিশন চিঠির মাধ্যমে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মতামত নেয়া পর জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করা হবে।

পড়তে পারেন – কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি পরিশোধ করবেন

জাতীয় পরিচয়পত্রের অন্যান্য তথ্য সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
  • Save

জাতীয় পরিচয়পত্রের অন্যান্য তথ্যের মধ্যে রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ঠিকানা ইত্যাদি।

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়না। এ জন্য আপনাকে একটি ঠিকানা পরিবর্তন ফরম পূরণ করে আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।

আসুন এবার জানি, কিভাবে কম্পিউটার বা মোবাইল দিয়ে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের আবেদন করবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন জটিলতা

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে কিছু জটিলতা হতে পারে যদি আপনার কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র না থাকে। কারণ প্রমাণপত্র ছাড়া ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যাবে না।

তাছাড়া, প্রমাণপত্র হিসেবে দেওয়া আপনার ডকুমেন্টগুলোতেও শুদ্ধভাবে আপনার তথ্য থাকতে হবে। যেমন ধরুন, আপনার এনআইডিতে নাম- মোঃ কামাল উদ্দিন। কিন্তু আপনি চান আপনার শুদ্ধ নাম মোঃ কামাল হোসেন।

এক্ষেত্রে আপনার প্রমাণ হিসেবে দেওয়া কাগজপত্রে অবশ্যই- মোঃ কামাল হোসেন থাকতে হবে। যদি সেখানে, কামাল হোসেন বা মোঃ কামাল থাকে সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে

জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বোচ্চ সময় ৪৫ দিন লাগে। তবে এটি নির্ভর করে আবেদনের ধরণ বা ক্যাটাগরির উপর। অনলাইনে উপযুক্ত প্রমাণপত্র আপলোড করে সঠিকভাবে আবেদন করার পর ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়।

বিস্তারিত পড়ুন- এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন লাগে

কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোন ভেরিফিকেশনের জন্য হয়তো আরো ৫-১০ দিন দেরি হতে পারে।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে?

এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে সাধারণত JSC, SSC, HSC বা তার সমমানের সার্টিফিকেট, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট লাগে। এগুলোর পাশাপাশি সরকারী চাকুরির সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন, পিতা-মাতা ও ভাই-বোনের এনআইডি প্রয়োজন হতে পারে।

কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা যায়?

জাতীয় পরিচয় পত্রের যে কোন ভুল সংশোধনের জন্য উপযুক্ত প্রমান আপলোড করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনটি কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করলে অনলাইন থেকে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?

সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র উইং থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ দিন সময় নির্ধারন করা হয়েছে। তবে অনলাইনে উপযুক্ত প্রমাণপত্র আপলোড করে সঠিকভাবে আবেদন করার পর ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়।

ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের কোন লিমিট দেয়া হয়নি। আপনার ভুল থাকলে আপনি যতবার ইচ্ছা সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। তবে, এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। প্রথমবার আবেদনে ফি ভ্যাটসহ- ২৩০ টাকা, ২য়বার ৩৪৫, ৩য় বার থেকে যে কোন বার ৪৬০ টাকা পরিশোধন করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে ভ্যাটসহ ২৩০ টাকা এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে ১১৫ টাকা লাগে। উভয় তথ্য একসাথে সংশোন করতে মোট ফি ৩৪৫ টাকা খরচ হবে।

স্মার্ট কার্ড কিভাবে সংশোধন করা যায়?

স্মার্ট কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে আপনার স্মার্ট কার্ড নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। ফেইস ভেরিফিকেশন করে লগইন করুন। এবার প্রোফাইল অপশনে যান এবং এডিট লিংকে ক্লিক করে তথ্য সংশোধন করুন। সংশোধন ফি পরিশোধ ও প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড করে আবেদন জমা দিন। আবেদন অনুমোদন হলে তথ্য সংশোধন হবে।

নিজ পিতা স্বামী মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

নিজ পিতা-মাতার নাম সংশোধন করতে জেএসসি বা এসএসসি সার্টিফিকেট ও ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। তাছাড়া স্বামীর নাম সংশোধনে, নিকাহনামার কপি জমা দিতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল তথ্যজাতীয় পরিচয় পত্র
ভোটার নিবন্ধননতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
এনআইডি ডাউনলোডফরম নম্বর দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
রিইস্যুহারানো জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড

ADVERTISEMENT

Similar Posts

মন্তব্য করুন