বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে?
বয়স ৫ বছরের বেশি হলেই জন্ম নিবন্ধন করতে প্রয়োজন হয় অনেক কাগজপত্রের। আসুন জেনে নিই বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে।
ADVERTISEMENT
জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের বয়স ভেদে ৩ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত, ৪৬ থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫ বছর বয়সের বেশি। এসব ক্যাটাগরি ভেদে আবেদন ফি’র পরিমাণ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ধরণও ভিন্ন ভিন্ন।
সহজ ও ঝামেলাবিহীনভাবে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে ৫ বছর বয়সের আগে। পড়তে পারেন- বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে।
ADVERTISEMENT
তবে অনেকে বিভিন্ন অসুবিধা ও অপারগতার কারণে, সময়মত আবেদন করতে পারেন না। পরবর্তীতে, বয়স বেশি হয়ে গেলে কিছু অতিরিক্ত প্রমাণপত্র ও ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়।
আসুন জেনে নিই, বয়স ৫ বছরের বেশি হলে বা বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে।
বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
- অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্র;
- বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র; অথবা, প্রাথমিক, জেএসসি বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট;
- পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি (যদি থাকে); অথবা, পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে);
- ইউপি ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি; অথবা, জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ;
- আবেদনকারীর ছবি।
১. আবেদন পত্র
প্রথমে আপনাকে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরন করে আবেদনের কপিটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। অনলাইনে আবেদন সাবমিট সফল হলে, আবেদনের একটি এপ্লিকেশন আইডি পাবেন। এপ্লিকেশন আইডিটি প্রিন্ট করা আবেদনপত্রের এক কোনায় লিখে নিবেন।
আপনি দেখে নিতে পারেন কিভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করবেন।
২. বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন বা শিক্ষা সনদ
বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে বাধ্যতামূলকভাবে যেই ডকুমেন্টটি প্রয়োজন হয় তা হচ্ছে বয়স প্রমাণের স্বপক্ষে কোন ডকুমেন্ট। এটি হতে পারে যে কোন শিক্ষা সনদ অথবা সঠিক বয়সের ব্যাপারে ডাক্তারী সনদ।
ADVERTISEMENT
- শিক্ষা সনদ: সরকার কতৃক পরিচালিত কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সনদ, অথবা শিক্ষা বোর্ডের অধীন জেএসসি বা এসএসসি সনদ।
- চিকিৎসকের প্রত্যয়ন: বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী চিকিৎসক হতে সঠিক বয়সের স্বপক্ষে প্রত্যয়নপত্র।
উপরের যে কোন একটি ডকুমেন্ট হলেই চলবে।
৩. স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ
জন্ম নিবন্ধন করতে আবেদনকারীকে তার স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে বাড়ি বা আবাসস্থলের ইউপি/পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স পরিশোধের হালনাগাদ রশিদের কপি দিতে হবে। কর পরিশোধের রশিদ অবশ্যই নিজের বা পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর নামে হতে হবে।
অথবা, নদীভাঙ্গন বা অন্য কোন কারণে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে, নতুন বসতির প্রমাণ হিসেবে জমি বা জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
ADVERTISEMENT
স্থায়ী ঠিকানা না থাকলেও, জন্ম নিবন্ধন করা যাবে। যাদের স্থায়ী ঠিকানা নাই, তারা বিষয়টি জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীকে অবহিত করবেন।
৪. পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র
এরপর যেই ডকুমেন্টটি বেশিরভাগ চাওয়া হয়, তা হচ্ছে পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন। যদিও অফিসিয়ালি এই ডকুমেন্টটি বাধ্যতামূলক নয়, তা সত্ত্বেও অনেক অফিসে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য চাওয়া হয়।
মূলত একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন যেন করা না হয়, তার জন্যই পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র চাওয়া হয়ে থাকে।
তাই, যদি আপনার থাকে এই তথ্যগুলো আবেদন পূরণ করার সময় দিবেন এবং এগুলোর এক কপি আবেদনের সাথে জমা দিবেন।
যারা এতিম, অনাথ বা পিতা-মাতার কোন তথ্য নাই, তাদের ক্ষেত্রে এটি না দিলেও চলবে। জন্ম নিবন্ধন করতে কোন সমস্যা হবে না।
৫. আবেদনকারীর ছবি
অনেকক্ষেত্রে, জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারীর ছবি চাওয়া হতে পারে। বিশেষ করে বড় বা বয়স্ক আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন করতে ছবি প্রয়োজন হতে পারে।
তাই, আপনি পাশাপাশি আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি নিয়ে যেতে পারেন।
৫ বছরের বেশি বা বড়দের জন্য নিবন্ধন করতে মূলত এই ৫ ধরনের ডকুমেন্টই চাওয়া হয়।
আশা করি, তথ্যগুলো আপনাদের কাজে লেগেছে। যদি এই ব্লগটি উপকারি মনে করেন, আপনার Social Media বা Facebook এ আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত আরও তথ্য
ADVERTISEMENT