পাসপোর্ট ছাড়াই ইমিগ্রেশন সুবিধা সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে
২০২৫ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর পাসপোর্ট ছাড়াই ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স সুবিধা চালু করা হবে। এতে সিঙ্গাপুর থেকে থেকে যাত্রীরা শুধুমাত্র Biometric Information ব্যবহার করে বিমানে উঠতে পারবেন।
সিঙ্গাপুরের যোগাযোগমন্ত্রী জোসেফিন তেও ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদে পাসপোর্ট ছাড়াই ইমিগ্রেশন সুবিধা চালুর বিষয়ে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নতুন ইমিগ্রেশন আইন পাস করা হয়েছে যা এই সুবিধা চালু করতে দেবে।
এই ব্যবস্থার ফলে যাত্রীরা পাসপোর্ট দেখানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। তারা ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে তাদের আঙুলের ছাপ বা চোখের আইরিস দিয়ে তাদের পরিচয় প্রমাণ করতে পারবেন।
এটি বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি হবে যেখানে পাসপোর্ট ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
চাঙ্গি বিমানবন্দরে যাত্রীদের যাত্রা সহজ করতে ইতোমধ্যেই কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন, বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ও ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম।
আরও পড়তে পারেন:
জোসেফিন তেও জানান, প্রযুক্তিটি ব্যবহারের ফলে যাত্রীদের বারবার ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেখানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে। এতে করে বিভিন্ন জায়গায় পাসপোর্ট বা ডকুমেন্ট দেখাতে হবে না।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিটি Authentication এর জন্য একটি Unique Token ব্যবহার করা হবে। এই টোকেনটিই পরবর্তীতে বোর্ডিং, ব্যাগ সংগ্রহের মতো জায়গায় কাজে লাগানো হবে।
তবে এই বিমানবন্দরে পাসপোর্ট প্রয়োজন না হলেও, আপনাকে পাসপোর্ট সাথেই রাখতে হবে। কারণ, আপনি যে বিমানবন্দরে নামবেন সেখানে হয়তো পাসপোর্ট ছাড়া ক্লিয়ারেন্স পাবেন না। তাই সেক্ষেত্রে ঐসব বিমানবন্দরের জন্য আপাতত পাসপোর্ট সাথেই রাখতে হবে।
সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও উন্নত এয়ারপোর্ট। এতে রয়েছে নিয়মিত মোট ১০০ এয়ারলাইন্সের যাতায়াত। বিমানবন্দরটি থেকে বিশ্বের মোট ১০০ টি দেশের ৪০০ শহরে যাতায়াত করা যায়।
গত জুন মাসেই বিমানবন্দরটিতে মোট ৫২ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে করোনা শুরুর পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ।
চাঙ্গি বিমানবন্দর বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি। ক্রমবর্ধমান যাত্রীর চাপ সামাল দিতে, বিমানবন্দরটি Biometric Technology ব্যবহার বিবেচনা করছে।
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোসেফিন তেও বলেন, “বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি আমাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ এবং নিরাপদ করবে। এছাড়া এটি যাত্রীদের ভ্রমণকে আরও সহজ ও দ্রুত করবে।”
বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যাত্রীরা তাদের Fingerprint বা Face Scan করে তাদের পরিচয় প্রমাণ করতে পারে। এর ফলে এক্ষেত্রে পাসপোর্ট বা অন্যান্য পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে হবে না।
বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর ইতিমধ্যেই বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে, যাত্রীরা মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে বায়োমেট্রিক টানেল দিয়ে যেতে পারে। হংকং, টোকিও, দিল্লি, লন্ডন এবং প্যারিসের বিমানবন্দরগুলিতেও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি চালু রয়েছে।